গৃহবধূ মারুফা হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:৫১
নলছিটির ষাটপাকিয়ায় গৃহবধূ ও কলেজছাত্রী মারুফা আক্তার হত্যাকাণ্ডের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় মামলা না হওয়ায় ওসির অপসারণ দাবি করেছেন জেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ খান।
২৩ এপ্রিল (রবিবার) সকাল ১১টায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে মারুফা হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তৃতা কালে তিনি এ দাবি করেন।
মানববন্ধন শেষে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী নেত্রী ইসরাত জাহান সোনালী, জেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, ভৈরবপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, নিহত মারুফার মা লাকী বেগম, ভাই মোঃ সিদ্দিক, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মাহবুবুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আগামি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে থানা ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির পালনের হুশিয়ারি করেন বক্তারা।
জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। মেয়ের পক্ষ উপযুক্ত এবং সঠিক বিচার পাবে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুর রকিব জানান, হাসপাতাল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ঝালকাঠি থানায় এঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃতদেহের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মামলা রেকর্ড করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় মারুফাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার শ্বশুবাড়ির লোকজন। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার মারুফাকে মৃত ঘোষণা করলে মারুফাকে হাসপাতালে রেখেই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
মারুফার স্বামী প্রবাসে থাকায় তার শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানা রকম নির্যাতন করে আসছিল। এ নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গত ১৭ এপ্রিল মারুফাকে হত্যা করে হাসপাতালে আনা হয় বলে নিহত মারুফার মা সহ স্বজনদের অভিযোগ।