লাকী আখন্দের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০১৭, ০০:১০
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় তিনি এই প্রখ্যাত শিল্পীর শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
টানা আড়াই মাস হাসপাতালজীবন শেষে গেল সপ্তাহে রাজধানীর আরমানিটোলার নিজ বাসায় ফিরেছিলেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ। এতদিন ভালোই ছিলেন। তবে ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) দুপুর নাগাদ তার শরীরের অবনতি ঘটে। সন্ধ্যার আগে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মিটফোর্ড হাসপাতালে। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ কর্তব্যরত চিকিৎসক লাকী আখন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
লাকী আখন্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে— ‘এই নীল মনিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’ ‘লিখতে পারি না কোনও গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।
লাকী আখন্দ, আধুনিক বাংলা সংগীতের খ্যাতিমান শিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তাঁর জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন। ৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সংগীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন। শৈশব কেটেছে ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার পাতলা খান লেনে। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে এইচএমভি পাকিস্তানে সুরকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। সুরকার হিসেবে আরো কাজ করেছেন এইচএমভি ভারত এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেও।
স্বাধীনতার পর পর নতুন উদ্যমে বাংলা গান নিয়ে কাজ শুরু করেন। তার নিজের সুর করা গানের সংখ্যা দেড় হাজারেরও বেশি। শিল্পীর সহোদর ক্ষণজন্মা হ্যাপী আখন্দের সাথে ছিলো তার আত্মার সম্পর্ক। ভাইয়ের মৃত্যুর পর দীর্ঘকাল তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। দুজনের যৌথ প্রয়াসে সূচিত হয়েছিলো বাংলা গানের এক নতুন ধারা।