৪ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতনের সাজা বেত্রাঘাত!
প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:৫৬
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামে ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাতে গ্রাম্য শালিসে শিশুকে যৌন নির্যাতনকারী আ. মতিনকে ২০টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার নুনিয়াপাড়া বোরকা বাড়ির বখাটে আ. মতিন (৪৫) ১৬ এপ্রিল (রবিবার) সকালে একই বাড়ির মো. সেলিমের ৪ বছরে কন্যাকে একা পেয়ে যৌন নির্যাতন করে। শিশুর চিৎকারে বাড়ির লোকজন উপস্থিত হয়ে বখাটে মতিনকে আটক করে। নির্যাতিত শিশুর পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে বাড়ির মাতাব্বর বোরহান উদ্দিন ও ওসমান মিয়া নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হুমকি প্রদান করেন।
এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত ৯টার দিকে বাড়ির বোরহান উদ্দিন এবং ওসমান মিয়ার নেতৃত্বে মাতাব্বর মহিন, রফিক, ফয়েজ আহমেদ ৮/১০ জনের গ্রাম্যসালিসী বৈঠক বসে।
বৈঠকে যৌন নির্যাতন প্রমাণিত হলে রফিক ও ফয়েজ বখাটে মতিনকে ২০টি বেত্রাঘাত করে।
শিশুর মা রুবিনা বেগম বলেন, বখাটে মতিন কলা খাওয়ানোর নাম করে আমার শিশু মেয়ে নিয়ে যৌনাঙ্গ দিয়ে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়। মেয়ের চিৎকারে আমি ও বাড়ির লোকজন উপস্থিত হয়ে মতিনকে আটক করি। ঘটনার খবর পেয়ে আমার স্বামী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে লোকজন নানা ভয়ভীতি দেখায়। বাড়ির প্রভাবশালী ব্যক্তি রোবহান উদ্দিনের সহযোগীতা চেয়ে না পেয়ে মুরব্বিদের ধারস্থ হলে ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাতে বাড়ির লোকজন জরুরী বৈঠকে বসে।
বোরহান উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি গ্রাম্য শালিসে সমাধানের অযোগ্য হওয়ায় আমি আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে বখাটে মতিনের পরিবারের সবাই বসতঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. লিটন বলেন, বিষয়টি শুনার পর আমি শিশুর পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই।
ইছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ শহিদ উল্লাহ বলেন, লোকের মুখে ঘটনাটি শুনেছি। শিশুর পরিবারের কেউ আমার কাছে আসেনি।
রামগঞ্জ থানার ওসি তোতা মিয়া বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।