কুতুবদিয়া আদালতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচার কার্যক্রম
প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:৫৯
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় আদালতের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচার কার্যক্রম। ফাটল ধরা ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়ার পর থেকে আদালতে কর্মরতদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
রবিবার দুপুরে ছাদ ধ্বসের ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন আদালতের জিআরও এ এস আই দুদু মিয়া। ধ্বসের মাত্র কয়েক মিনিট আগে তিনি রুম থেকে বের হয়ে আদালতের বারান্দায় দাঁড়ালে এ ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে খবরটি আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিচার প্রার্থী ও সাধারণ লোকজনের মাঝে পৌঁছালে সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ছাদ খসে পড়া স্থল পরিদর্শন করেন কুতুবদিয়া আদালতের জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর কবির।
কুতুবদিয়া আদালতের জি আরও এএসআই দুদু মিয়া জানান, রবিবার সকাল থেকেই কাজ করছিলাম। দীর্ঘক্ষণ বসতে বসতে অস্বস্থি লাগায় বেলা ১২টার দিকে কক্ষ থেকে বের হয়ে বারান্দায় দাঁড়ায়। এর পাঁচ মিনিট পর অকস্মাৎ ছাদটি ধ্বসে পড়ে। বসা থেকে উঠে না আসলে ছাদটির ধ্বসে পড়া অংশের নিচে চাপা পড়তে হতো আমাকে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দেশের মূলভূখণ্ড থেকে বিচিছন্ন দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৫ সালে কুতুবদিয়া আদালত ভবনটি স্থাপন করেন। ভবনটি নির্মাণের ৩২ বছর অতিবাহিত হলেও কোন কুতুবদিয়া আদালতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচার কার্যক্রম
কক্সবাজার প্রতিনিধি কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় আদালতের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচার কার্যক্রম। ফাটল ধরা ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়ার পর থেকে আদালতে কর্মরতদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার দুপুরে ছাদ ধ্বসের ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন আদালতের জিআরও এ এস আই দুদু মিয়া। ধ্বসের মাত্র কয়েক মিনিট আগে তিনি রুম থেকে বের হয়ে আদালতের বারান্দায় দাঁড়ালে এ ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে খবরটি আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিচার প্রার্থী ও সাধারণ লোকজনের মাঝে পৌছালে সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ছাদ খসে পড়া স্থল পরিদর্শন করেন কুতুবদিয়া আদালতের জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর কবির।
কুতুবদিয়া আদালতের জি আরও এএসআই দুদু মিয়া জানান, রবিবার সকাল থেকেই কাজ করছিলাম। দীর্ঘক্ষণ বসতে বসতে অস্বস্থি লাগায় বেলা ১২টার দিকে কক্ষ থেকে বের হয়ে বারান্দায় দাঁড়ায়। এর পাঁচ মিনিট পর অকস্মাৎ ছাদটি ধ্বসে পড়ে। বসা থেকে উঠে না আসলে ছাদটির ধ্বসে পড়া অংশের নিচে চাপা পড়তে হতো আমাকে। প্রাণে রক্ষা পাওয়ায় আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করেন তিনি।
আদালত সুত্রে জানাযায়, দেশের মূল-ভুখন্ড থেকে বিচিছন্ন দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দূর্ভোগ লাগবের জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৫ সালে কুতুবদিয়া আদালত ভবনটি স্থাপন করেন। ভবনটি নির্মানের ৩২ বছর অতিবাহিত হলেও কোন যুগ-উপযোগী মেরামত হয়নি। ১৯৯১ সালের প্রলয়নকারী ঘূর্ণিঝড়ে আঘাতের পর কোনমতে জোড়া তালি দিয়ে ভবনটিতে আদালতের বিচারিক ও দাপ্তরিক কর্মকান্ড চলে আসছিল। গত ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনার প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে জামায়াত-বিএনপির সমর্থকরা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করার সময় এ আদালত ভবনও ভাংচুরের কবলে পড়ে। ভাংচুরের পর মেরামত করার জন্য উপজেলার অন্যান্য দপ্তরের জন্য বরাদ্ধ আসলেও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ কুতুবদিয়া আদালত ভবনের মেরামতের জন্য কোন বরাদ্দ আসেনি। লিখিত ভাবে একাদিকবার আবেদন করা হলেও এখনো সাড়া মেলেনি। যার কারণে বর্তমানে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ আদালতের কর্মচারীরা বিচারিক ও দাপ্তরিক কর্মকান্ড চালাচ্ছেন।
কুতুবদিয়া আদালতের আইনজীবি কামাল উদ্দিন জানান, ১৯৮৫ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকারের আমলে নির্মিত আদালত ভবনটি সংস্কারের অভাবে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। আদালত ভবনটি সংস্কার অতিব জরুরী। সংস্কার না হলে আদালত ভবনটিতে বিচারিক কার্যক্রম ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
আদালত সূত্র জানায়, কুতুবদিয়া আদালত ভবনটি রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিতে। নেই ভবনের নিরাপত্তা বেষ্টনীও। তাই গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলো রয়েছে অনিরাপদ। চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে আদালতের কর্মচারীরাও। ভবনের সংস্কার দ্রুত করা না হলে বিচারিক কার্য পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
কুতুবদিয়া আদালতের এপিপি এড. জিল্লুল করিম জানায়, মাঝারি মাত্রার ভুমিকম্পন ও টানা বৃষ্টি হলেও আদালত ভবনটি সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাছাড়া আইনজীবিদের জন্য আলাদা কোন ঘর নেই। ফলে বিচার ও বিশ্রাম উভয়ই একই স্থানে হওয়ায় বিভ্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে ভবনটি মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত ভবনের খসে পড়া এবং ভবনের বিভিন্ন কক্ষের ছাদ, দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল রয়েছে। বলতে গেলে পরিত্যক্ত ভবনেই বাধ্য হয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। আল্লাহর রহমত থাকায় রবিবার খসে পড়া ছাদের আঘাতে কেউ হতাহত হয়নি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দেশের মূলভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৫ সালে কুতুবদিয়া আদালত ভবনটি স্থাপন করেন। ভবনটি নির্মাণের ৩২ বছর অতিবাহিত হলেও কোন যুগোপযোগী মেরামত হয়নি। ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আঘাতের পর কোনমতে জোড়া তালি দিয়ে ভবনটিতে আদালতের বিচারিক ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড চলে আসছিল।
গত ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে জামায়াত-বিএনপির সমর্থকরা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করার সময় এ আদালত ভবনও ভাংচুরের কবলে পড়ে। ভাংচুরের পর মেরামত করার জন্য উপজেলার অন্যান্য দপ্তরের জন্য বরাদ্ধ আসলেও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ কুতুবদিয়া আদালত ভবনের মেরামতের জন্য কোন বরাদ্দ আসেনি। লিখিতভাবে একাদিকবার আবেদন করা হলেও এখনো সাড়া মেলেনি। যার কারণে বর্তমানে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ আদালতের কর্মচারীরা বিচারিক ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
কুতুবদিয়া আদালতের আইনজীবি কামাল উদ্দিন জানান, ১৯৮৫ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকারের আমলে নির্মিত আদালত ভবনটি সংস্কারের অভাবে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। আদালত ভবনটি সংস্কার অতিব জরুরী। সংস্কার না হলে আদালত ভবনটিতে বিচারিক কার্যক্রম ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, আদালত ভবনের খসে পড়া এবং ভবনের বিভিন্ন কক্ষের ছাদ, দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল রয়েছে। বলতে গেলে পরিত্যক্ত ভবনেই বাধ্য হয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। আল্লাহর রহমত থাকায় রবিবার খসে পড়া ছাদের আঘাতে কেউ হতাহত হয়নি।