পহেলা বৈশাখে র্যালি করবে না আ.লীগ
প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:৩০
পহেলা বৈশাখে র্যালি করবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
১২ এপ্রিল (বুধবার) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র্যালি না করার কথা জানান। গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এই তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক জানান, র্যালি না করার পেছনে কারণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি কার্যনির্বাহী সংসদকে বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ উদযাপন বা ওই দিনে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা সব বাঙালির অনুষ্ঠান। এটিকে রাজনৈতিক কর্মসূচি বানিয়ে লাভ কী? ওইদিন অনুষ্ঠান করতে হলে আমরা ঘরোয়াভাবে করব। গণভবনে ঘরোয়া পরিবেশে আমরা এটা উদযাপন করতে পারি।’
অবশ্য, ১২ এপ্রিল (বুধবার) এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা মুঘল আমল থেকেই শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতিরই অংশ। এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এটি যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বাংলা বছরের প্রথম দিন উদযাপন করে। এটি কোনও হিন্দুয়ানি শব্দ নয়। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সঙ্গে ধর্মের কোনও সংযোগ নেই। এখানে ধর্মকে টেনে আনার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এটিকে নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন।’ এ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে বাংলা নববর্ষ উৎযাপন হয়ে এলেও আশির দশকের শেষ ভাগ থেকে এ দিবসটিকে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে রাজধানীতে প্রতি বছর এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়ে থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কিছু ধর্মীয় সংগঠন মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিধর্মীয় সংস্কৃতি ও হিন্দুয়ানি উল্লেখ করে এটি বন্ধের দাবি তুলে আসছে। এ বছরও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধের দাবি তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ প্রতিবারই বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ রাজধানীতে র্যালি করে। ঢাকা মহনগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এই র্যালিটি পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশগ্রহণ করে করেন।