মা বলে ডেকে ঘনিষ্ঠতা হয়ে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ
প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০১৭, ১১:১৭
ইজিবাইকে হঠাৎ পরিচয়, এরপর মা বলে ডেকে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেন। কিছুদিন পর বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। এমন ঘটনার শিকার খুলনা নগরের এক কলেজছাত্রী। এখন বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন ওই ছাত্রী।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এনামুল হক টিটো (৫৫), খুলনা নগরের মৌলভীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ময়লাপোতা এলাকায় তার ওষুধের একটি দোকান আছে।
ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৫ মার্চ এনামুলের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন স্নাতক (সম্মান) পড়ুয়া মেয়েটি। পুলিশ এনামুলকে গ্রেপ্তারও করেছে। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি দ্রুত ছাড়া পেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটি।
মামলার নথি ও ছাত্রী ভাষ্য, গত ১৬ জানুয়ারি (সোমবার) কলেজ থেকে ইজিবাইকে চড়ে বাসায় ফেরার পথে এনামুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রথম পরিচয়েই এনামুল তাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি মেয়েটিকে বলেন, কিছুদিন আগে তার মা মারা গেছেন। এনামুল বয়স্ক মানুষ হওয়ায় বিষয়টি মেনে নেন ওই কলেজছাত্রী। এরপর কলেজে যাওয়া-আসার পথে দেখা হলেই খাতির করতেন এনামুল। ১৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তিনি মেয়েটিকে বলেন, তাকে তিনি তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চান। এ কথা বলে মেয়েটিকে সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন। লজ্জায় এ ঘটনা প্রথমে কাউকে বলেননি কলেজছাত্রী।
মেয়েটি বলেন, আত্মহত্যা করলে অপরাধী পার পেয়ে যেত। এ কারণে তিনি ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পরিবারকে বিষয়টি জানান। কিন্তু কী করতে হবে, বুঝতে না পেরে প্রথমে যান পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিদ্রূপ করে তাড়িয়ে দেন। এরপর সদর থানায় গেলে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর এনামুলের নাম-ঠিকানা জোগাড় করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, মামলার একমাত্র আসামি কারাগারে আছেন। মামলাটি তদন্তাধীন। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
কিন্তু টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন উল্টে যায় কি না, সেই শঙ্কায় রয়েছেন মেয়েটি। টাকার বিনিময়ে তাকে আপস করতে বলেছে একটি পক্ষ। ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছে। কিন্তু মেয়েটি বিচার পেতে অনড়। তাই আদালত থেকে পুলিশ কমিশনার পর্যন্ত দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।