‘জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক হামলা, হত্যা ও ধর্ষণ রুখতে রাস্তায় নামুন’
প্রকাশ | ১৮ জুন ২০১৬, ২০:৫২
অবিলম্বে দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সকল জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক হামলা এবং হত্যা ও ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ করেছে নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুর, শিশু-কিশোর-ছাত্র-যুব, লেখক-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-সংস্কৃতিকর্মী ও পেশাজীবিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
১৭ জুন বিকালে শাহবাগে আয়োজিত হয় এ বিক্ষোভ সমাবেশ। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশ নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও শিশু-কিশোর সংগঠন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত কয়েক মাসে প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনাম হয়েছেন আমাদেরই আশেপাশের কেউ না কেউ। উদ্যত চাপাতি অথবা ছুটে আসা বুলেটের আতঙ্ক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশকে গ্রাস করছে প্রতিনিয়ত। হত্যার শিকার হচ্ছেন লেখক-প্রকাশক-বিদেশি অতিথি-শিক্ষক-বাউল-ইমাম-নামাজরত মুসল্লি-পুরোহিত-সেবায়েত-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ ইত্যাদি নানা পরিচয়ের মানুষ। নারীরা নিপীড়িত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত, শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না নির্যাতন থেকে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে, পাহাড়েও আদিবাসীদের উপর নির্যাতন অব্যাহত আছে। এর সাথে সমানতালে চলছে বিচারবহির্ভূত হত্যা-গুম। এসব অনাচার বন্ধ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
সমাবেশে বক্তারা জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক হামলা, হত্যা ও ধর্ষণ রুখতে জনগণকে রাস্তায় নেমে এসে প্রতিরোধ গড়তে আহবান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সভানেত্রী মাহফুজা খানম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল দেবনাথ, ভাস্কর রাশা, প্রকাশক রবীন আহসান, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল, কৃষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান, ক্ষেতমজুর সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোতালেব হোসেন, লেখক-শিক্ষক অভিন্যু কিবরিয়া ইসলাম, প্রকৌশলী উত্তম দাস, টিইউসি ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান, রেল শ্রমিক নেতা মুসা মিয়া, বস্তীবাসী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেক, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, সাবেক ছাত্রনেতা আকরামুল হক, সামাজিক কর্মী জীবনানন্দ জয়ন্ত প্রমূখ।
সভাটি পরিচালনা এবং গণ আন্দোলনের পক্ষে ঘোষণা পাঠ করেন আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে এসে শেষ হয়।