শিমুল হত্যার ২ মাস পর ঘাতক মেয়রের স্ত্রীর মামলা
প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫৮
শাহজাদপুরে সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যার দীর্ঘ ২ মাস পর ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর স্ত্রী মোছা. লুৎফুন নেছা পিয়ারী বাদি হয়ে বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) একটি পিটিশন কেস দায়ের করেছেন।
ওই মামলায় শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ভিপি আবদুর রহিম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবে ওয়াহিদ শেখ কাজল ও পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নাছির উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আশিকুল হক দিনারসহ ১৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২শ' জনকে আসামি করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক হাসিবুল হক পিটিশন মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাহজাদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ শত শত নেতাকর্মী মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুসহ খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আদালতে দাখিলকৃত পিটিশন মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় পিস্তল, দেশি তৈরি বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার স্বামী পৌর মেয়র মিরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা উপর্যুপরি ককটেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্রলীগ সভাপতি কাজলের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে অনেক পথচারী এবং জনৈক সাংবাদিক শিমুল আহত হয়। এছাড়া মামলাটি বিলম্বে দায়েরের কারণ হিসেবে বাদি উল্লেখ করেছেন, এ বিষয়ে সে নিজে বাদি হয়ে একটি এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু থানার ওসি নানা অজুহাতে মামলাটি এফআইআরভুক্ত করতে বিলম্ব করেন। পরে ওসির পরামর্শে তিনি আদালতে এই পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, শাহজাদপুর থানার ওসি মো. খাজা গোলাম কিবরিয়া জানান, ‘বিষয়টি তিনি শুনেছেন তবে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ সংবলিত কোন পিটিশন পাননি।’
এদিকে, সাংবাদিক শিমুল হত্যাকান্ডের দীর্ঘ দুই মাস পর এ ধরণের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা দায়েরের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।