সিআইডির কাছেও প্রশ্নবিদ্ধ তনুর ময়নাতদন্ত

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০১৬, ২১:২০

অনলাইন ডেস্ক

আলোচিত কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেও সঠিক কিছু বেরিয়ে না আসায় চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডি।

বৃহস্পতিবার তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনকে হাস্যকর উল্লেখ করে কুমিল্লায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান বলেন, "প্রথম ময়নাতদন্তের সময় তনুর গোটা শরীরে অসংখ্য কাটা-ছেঁড়া করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ উত্তোলনের পর এসব কাটা-ছেঁড়া দেখা গেছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলে তনুর শরীরে কেন কাটা-ছেঁড়া করা হলো? আঘাত ছিল বলেই প্রথম ময়নাতদন্তের সময় তার শরীর কাটা-ছেঁড়া করে দেখা হয়"।

তিনি বলেন, "দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী বোর্ড প্রধান বলেছেন- দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের সময় মৃতদেহ পচে গেছে বলে তিনি শরীরে আঘাতের চিহ্ন বা অন্যকিছু দেখতে পাননি। তাহলে তিনি তনুর সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স দেখলেন কিভাবে?"

এই হত্যাকাণ্ডের সুরাহা করতে এখন নিজেদের ল্যাবে তনুর আলামতের ডিএনএ টেস্টে ‘যাদের বীর্যের’ উপস্থিতি পাওয়া গেছে তাদের সনাক্ত করতে সন্দেহভাজনদের তালিকা করা হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির এই কর্মকর্তা।

নাজমুল করিম খান বলেন, “সন্দেহভাজনদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। যা নিয়ে কয়েকবার সভা করে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে দেখা হয়েছে। আমাদের আগামী সপ্তাহের বৈঠকে তনু নিয়ে প্রাপ্ত সব তথ্য-উপাত্ত আবার পর্যালোচনা করা হবে। সেখানেই সন্দেহভাজনদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে” 

তিনি বলেন, "সন্দেহভাজন ওই তিন পুরুষের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ওপর মহলের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। অন্য জায়গায় ঘটনাটি ঘটলে আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করা যেতো। কিন্তু, সীমাবদ্ধতা আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য জায়গায় ঘটনাটি হলে এতোদিনে ২-৪ জনকে গ্রেফতার করতে পারতাম। গ্রেফতারের মতো সেই সুযোগ এবং আলামত আমাদের হাতে রয়েছে। সন্দেহভাজনদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক কিছুই আছে বলার মতো, কিন্তু মামলার তদন্তের স্বার্থে সেগুলো বলা যাবে না। আমরা আমাদের মতো করে কাজ করছি। একটা লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি"।

'শীঘ্রই' হত্যা রহস্য বের করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।