২৮ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০১৭, ১০:৫০

অনলাইন ডেস্ক

আরও ২৮টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) স্টোরাইড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে ৩ এপ্রিল (সোমবার) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো.আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই ২৮টি কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ।

দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, শিল্পসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের মহাপরিচালক, ওষুধ উৎপাদন মালিক সমিতির সভাপতি, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র‌্যাবের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

বন্ধকৃত ওষুধ কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এজটেক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেঙ্গল টেকনো ফার্মা লিমিটেড, বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ডিসেন্ট ফার্মা লিমিটেড, ডা. টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্রিনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ম্যাক্স ড্রাগস লিমিটেড, ম্যাডিমেট ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, মর্ডার্ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মিসটিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, অর্গানিক হেলথ কেয়ার লিমিটেড, ওয়েস্টার ফার্মা লিমিটেড, প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সীমা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, হোয়াইট হর্স  ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মমতাজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনিকফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইউনাইটেড কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টেকনো ড্রাগস লিমিটেড ইউনিট-১, ইউনিট-২, ইউনিট-৩।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা ‘জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকটরি প্র্যাকটিস)’ অনুসরণ না করে ২৮টি কোম্পানি নিম্নমানের অ্যান্টিবায়েটিক, স্টোরাইড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। এতে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে।

ওষুধের মান ঠিক রাখতে উৎপাদন পদ্ধতি, লোকবল, ফ্যাক্টরির অবস্থান, পদ্ধতি, প্যাকেট, বোয়িংসহ অনেক বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে জিএমপি নীতিমালায়। এ নীতিমালাটি আমাদের দেশের প্রচলিত আইনেও স্বীকৃত। ফলে জিএমপি লঙ্ঘন করে ওষুধ উৎপাদন সম্ভব নয়।

রিট আবেদনে বলা হয়,  ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৫ (১) ধারা অনুসারে  প্রতিটি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি অনুযায়ী ওষুধ উৎপাদন করবে।

১৫  (২) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ওষুধ কোম্পানি জিএমপি অনুসরণ না করে, তবে সে সকল কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল অথবা সাসপেন্ড করা যেতে পারে।

১৭ ধারায় নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুত, মজুদ, অথবা বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানাসহ শাস্তি অথবা উভয় দণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে।