রাজশাহীতে জাতীয় স্মার্ট পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:৪২

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর এবার রাজশাহীর নাগরিকদের মধ্যে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।

২ এপ্রিল (রবিবার) দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার বিশিষ্ট ১০ ব্যক্তির হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্টকার্ড তুলে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে।

৩ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পর্যায়ক্রমে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের মধ্যে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে।

২ এপ্রিল (রবিবার) সকালে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি থেকে এর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী দিনে নগরীর ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে তাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন ১০ জন। অনুষ্ঠানের অতিথিরা তাদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেন।

প্রথম দিন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তরা হলেন, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী বজলার রহমান বাদল, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, সাবেক এমএলএ আবদুল হাদি, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মফিজ উদ্দিন মোল্লা, পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদ আরা, প্রকৌশলী ফেরদৌস শাহানাজ কান্তা ও সাংবাদিক আবু সালে মো. ফাত্তা।

এছাড়া অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার ও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির হাতেও স্মার্টকার্ড তুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

অনুষ্ঠানে ইসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে যখন আমরা কাগজে লেমেনেটিং করা জাতীয় পরিচয়পত্রটি তৈরি করি, তখনই আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পারি। তখন আমি নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব ছিলাম। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জাতীয় পরিচয়পত্রকে স্মার্ট করে তোলার। তারপর বিদেশী সাহায্য আর সরকারের প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে।’

ইসি কবিতা খানম বলেন, ‘এই স্মার্টকার্ড বাংলাদেশের নাগরিকের পরিচয়কে অর্থবহ করে তুলবে। এই স্মার্টকার্ডে দেশাত্ববোধের যে সমস্ত বৈশিষ্ঠ ব্যবহার করা হয়েছে, তা বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মানুষকে একটি আত্মমর্যাদা সম্পন্ন একটি জাতি হিসেবে চিহ্নিত করবে। এই পরিচয়পত্রের ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ঠ রয়েছে। সামাজিক এবং ব্যক্তিগত-দুই ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহার করা যাবে।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়ক উপস্থাপনা করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার।

জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, রাজপাড়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রামানিক ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।