এসিডদগ্ধের ১০ বছর পর চিকিৎসা সহায়তা

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০১৭, ০০:২৬

অনলাইন ডেস্ক

নাটোরের সিংড়া ও নলডাঙ্গা উপজেলায় এসিডদগ্ধ দুই নারী প্রায় ১০ বছর পর চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছেন। ওই দুটি মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার হলেও তারা এখন জামিনে রয়েছেন। দীর্ঘ ১০ বছরেও বিচারের রায় ঘোষণা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এসিডদগ্ধের শিকার এই দুই নারী।

জেলার চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত মনিটরিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কক্ষে এসিড দগ্ধ ওই দুই নারীকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।

ভুক্তভোগী আঞ্জুয়ারা ও আসমা বেগম চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে অনুদানের চেক দেওয়ার পর খুশি হলেও বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি, আসামিরা তাদের শরীর ঝলসে দিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম জানান, বার বার সাক্ষীদের আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা উপস্থিত না হওয়ায় বিচার কাজে বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের হাজির করে বিচার কাজ শেষ করার জন্য আদালত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুনীরুজ্জামান ভুঞা, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। বর্তমানে মামলা দুটি নাটোর জেলা ও দায়রা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

নাটোর জজকোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৫ সালের মে মাসে সিংড়া উপজেলার শালিখা গ্রামের সায়েদ আলীর মেয়ে আঞ্জুয়ারা বেগম বোন ও মার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। গরমের রাত হওয়ায় তারা তাদের ঘরের জানালা খুলে রেখে ছিলেন। মধ্যরাতে দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করলে তিনজনই দগ্ধ হন। তবে বেশি দগ্ধ হন আঞ্জুয়ারা। এ ঘটনায় সায়েদ আলী বাদি হয়ে শাহজাহানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা করেন।

অপরদিকে, ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে নলডাঙ্গা উপজেলার বাঙ্গালপাড়া-হলুদঘর গ্রামের আসমা বেগম নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার নাম ধরে ডাকতে থাকে। ডাক শুনে আসমা ঘর থেকে বের হওয়া মাত্র তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আসমা বেগমের ভাই আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে নলডাঙ্গা থানায় নজরুল ইসলামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।