আতিয়া মহলে নিহত দুই জঙ্গির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০১৭, ১৮:৪৭
সিলেটে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে চার দিনের অভিযান শেষে পাওয়া চার জন জঙ্গির লাশের মধ্যে বিস্ফোরণে বিক্ষত এক পুরুষ ও পোড়া এক নারীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আতিয়া মহলের সামনেই বিস্ফোরণে বিক্ষত ঐ নারী ও পুরুষের লাশের সুরতহাল করা হয়। পরে সেগুলো পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে একটি লাশ মর্জিনার বলে ধারণা করছে পুলিশ।
২৮ মার্চ, মঙ্গলবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালে এদের ময়নাতদন্ত হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল দুটি লাশের ময়নাতদন্ত করেন।
বাকি দুটি লাশ এখনও শিববাড়ির আতিয়া মহলে ওই জঙ্গি আস্তানার ভেতরেই রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সেগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মোগলাবাজার থানার ওসি খায়রুল ফজল।
কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, “লাশ দুটি চেনার উপায় নাই। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই তাদের ময়নাতদন্ত হয়েছে। এখন লাশ দুটি রাখা হবে হিমাগারে। পরিচয় নিশ্চিতের জন্য ডিএনএ নমুনা ও আঙুলের ছাপ রাখা হয়েছে।”
তিনি জানান, লাশগুলো কিছুদিন সংরক্ষণ করবেন তারা। এর মধ্যে যদি তাদের স্বজন কেউ আসেন তাহলে পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করা হবে। আর তা না হলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে সেগুলো সৎকার করা হবে।
এদিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, নব্য জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা মাইনুল ইসলাম ওরফে মুসা ওই বাড়িতে ছিলেন বলে তথ্য ছিল গোয়েন্দদের কাছে। নিহত চারজনের মধ্যে একজন মুসা বলেই তারা ধারণা করছেন।
তবে বিস্ফোরণে লাশ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় চেহারা দেখে তাদের শনাক্ত করা কঠিন জানিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল মান্নান বলেন, “সিলেট থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। নিহতদের শরীরের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিতের কাজ চলছে।”
এদিকে মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ওই বাড়ি থেকে পরপর চারটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই ভবনে এখন জঙ্গিদের ফেলে রাখা বোমা নিষ্ক্রিয়করণের কাজ চলছে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।