উদ্ধারকৃত লাশের ডিএনএ সংগ্রহ
প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০১৭, ০০:৫৩
আতিয়া মহলের নিচতলায় চারটি মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্য থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। চারজনের মধ্য তিনজন পুরুষ, একজন নারী।
উদ্ধার করা দুটি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সিলেট মহানগরের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা জানিয়েছেন।
এর আগে ২৭ মার্চ (সোমবার) সন্ধ্যায় সিলেটে সেনাবাহিনীর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মরদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানানো হয়। আতিয়া মহলে আরও দুজন জঙ্গির মরদেহ পড়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আতিয়া মহলের নিচতলাটি কাওসার আলী ও মর্জিনা বেগম নামে দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। এরাই সে ব্যক্তি কি না তা নিশ্চিত হতে তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহ এখন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মোগলাবাজার থানা-পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুটো লাশের ময়নাতদন্ত আগামীকাল মঙ্গলবার সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার এই বাড়িটি গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ঘিরে রাখা হয়। শুক্রবার ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট সিলেটে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থল ঘেরাও করে। এরপর শনিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামে অভিযান শুরু করে। এ অভিযানের মধ্যেই শনিবার সন্ধ্যায় দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত এবং আরও ৪৪ জন আহত হন। স্মরণকালের মধ্যে এটা সবচেয়ে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী জঙ্গিবিরোধী অভিযান। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ওই ভবনের নিচতলায় চারজনের মরদেহ পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে দুজনের লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্য ছিল, ওই ভবনের নিচতলায় চারজন আছেন। এর মধ্য তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। বাকি দুটি মরদেহে আত্মঘাতী বেল্ট লাগানো আছে। পুরো ভবনে যে পরিমাণ বিস্ফোরক আছে, তা যদি ফেটে যায়, তাতে পুরো ভবন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই দেখে শুনে বেশ সতর্কতার সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া সুন্দর ও সফলভাবে আজকের অভিযান শেষ হয়েছে। দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়েছে।