প্রধানমন্ত্রী ও মালয়েশিয় হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাত
প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৬, ১৮:১৯
বাংলাদেশে নব নিযুক্ত মালয়েশিয় হাইকমিশনার নূর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ তাইব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতকালে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ইহসানুল করিম জানান, শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফরের স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালয়েশীয় সরকারের সহযোগিতাতেই দেশের মহেশখালীতে বর্তমানে একটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।
বিদ্যুৎ খাতে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের প্রায় সাড়ে ৭ বছরের শাসনকালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমান ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে বর্তমানে ১৪ হাজার ৭শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়ার সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কথাও এসময় উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দৌরগোঁড়ায় পৌঁছাতে সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা সহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ব্যয়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে রাজধানীর অদূরে মালয়েশিয়ার সহযোগিতায় শেখ ফজিলাতুন্নেসা কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করার কথাও বলেন তিনি।
সরকার দেশে একটি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা দ্রুততার সঙ্গে দেশের উন্নয়ন সাধনের চেষ্টা করে যাচ্ছি"।
সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পুনরোল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কেউ কোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহারের সুযোগ পাবে না"।
এদিকে নবনিযুক্ত মালয়েশীয় হাইকমিশনার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারষ্পরিক সহযোগিতাকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া কাজ করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের ক্ষেত্র হিসেবে জনপ্রশাসন, প্রশিক্ষণ এবং কৃষিকে চিহ্নিত করে দুটি দেশ এ বিষয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
মালেশিয়া সরকারও বাংলাদেশের সরকারের ন্যায় কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান তিনি।