সিলেটে সকাল থেকে দফায় দফায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ
প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৩:৩০
সিলেটে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলের’ কাছে ২৬ মার্চ রবিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর মধ্যে অন্তত তিনটি বিস্ফোরণ খুবই শক্তিশালী।
স্থানীয়রা জানান, রাতে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার পর বেশ কিছু সময় চুপচাপ থাকার পর সকাল ৭টার পরে প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু হয়। এর মধ্যে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল নয়টা ৫৭ মিনিট, ১০টা ৭ মিনিট ও ১১টা ৪৩ মিনিটে শক্তিশালী তিনটি বোমার বিস্ফোরণ হয় আতিয়া মহল ও আশপাশে। এর মধ্যে শেষ বিস্ফোরণটি ছিল খুবই শক্তিশালী। এই বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে সবার মধ্যে।
বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি এলাকায় থাকা পুলিশের এক সদস্য বলেন, বিস্ফোরণের পর আতিয়া মহলের পলেস্তারা খসে পড়েছে। দেখে মনে হচ্ছে ভবনটি কিছুটা হেলে পড়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে চলা এই অভিযানে শনিবার রাতে পরপর দুইটি বিস্ফোরণে এপর্যন্ত ৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন-জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়সার,স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা জান্নাতুল ফাহিম, কলেজছাত্র অহিদুল ইসলাম অপু, নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম (৩৮)ও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কাদিম শাহ (৩৫)
এদের মধ্যে কাদিমের পরিচয় রাতে জানা সম্ভব না হলেও রবিবার সকালে স্বজনরা হাসপাতালে এসে লাশ সনাক্ত করেন।
বিস্ফোরণের পর ২৫ মার্চ শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বর, সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক, পাড়াইরচক থেকে পীর হবিবুর রহমান চত্বর পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও দলবদ্ধভাবে চলাফেরা না করার আদেশ জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভবন থেকে উদ্ধার করা ৭৮ জনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা।