পার্বতীপুরের সেই শিশুটি আবার হাসপাতালে

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০১৭, ২০:০৩ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৭, ২০:০৯

অনলাইন ডেস্ক

ধর্ষণের শিকার হওয়া দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পাঁচ বছরের সেই শিশুটিকে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একা ভালো করে হাঁটতে পারে না সে। কাটেনি আতঙ্কও।

শিশুর নানি জানালেন, শিশুটির মন থেকে এখনো আতঙ্ক দূর হয়নি। ঘুমের মধ্যে বারবার আঁতকে ওঠে। বার্ন ইউনিটে শিশুদের চিৎকার দেখে আরো আতঙ্ক কাজ করছে তার মধ্যে।

নানির সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শিশুটির মা অন্তঃসত্ত্বা। এ মাসেই সন্তান হওয়ার কথা। তাই তিনি দিনাজপুরে আছেন। আর শিশুটির বাবা বাড়ি, নিজের কাজ, আবার আদালতে দৌড়াচ্ছেন। এভাবেই চলছে পুরো সংসার।

বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ওর আতঙ্ক এখনো কমেনি। ওকে অন্য অসুস্থ শিশুদের থেকে একটু আলাদা করে রাখা যায় কি না, তার চিন্তাভাবনা চলছে।

শিশুটির বাবা দিনাজপুরের আদালত থেকে ফোনে বলেন, ‘এক আসামিরে এখন পর্যন্ত ধরতে পারে নাই পুলিশ। আরেক আসামি জামিন চাইছিল, বিচারক জামিন দেন নাই। থানায় মেয়ের জবানবন্দি নিছে। এর বাইরে আর কিছু হয় নাই।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ অক্টোবর শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরের দিন শিশুটিকে তার বাড়ির কাছে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় শিশুটির প্রজনন অঙ্গ, মাথা, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঊরুতে সিগারেটের ছ্যাঁকার ক্ষত ছিল। এরপর দীর্ঘদিন শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন ছিল। শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গত বছরের ২১ নভেম্বর প্রজনন অঙ্গে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর বাড়ি ফিরে যায় শিশুটি। এখন আবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

২০ অক্টোবরেই শিশুটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজ নামের দুজনকে আসামি করা হয়। সাইফুলকে গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।