পিতার জীবন বাঁচাতে দুই কন্যার প্রাণপন চেষ্টা
প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০১৭, ২৩:৩২ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭, ২৩:৩৬
সন্তানকে বাঁচাতে পিতার কতই না আহাজারি করতে হয়। কিন্তু এবার স্নেহময়ী বাবাকে বাঁচাতে করুনার হাত প্রসারিত করেছেন জমজ দুই বোন রুমু আর ঝুমু। তারা ভাবতেও পারেনি কলেজের ক্লাস কামাই ও পড়ালেখা বাদ দিয়ে একদিন শহরের স্কুল কলেজগুলোতে বাবার জীবন রক্ষায় অর্থের জন্য ছুটে বেড়াতে হবে।
ঝিনাইদহ কেসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী ছাত্রী রুমু ও ঝুমুর বাবা রফিকুল ইসলাম এখন মৃত্যু শয্যায়। বাবার দুই কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। একদিন কিডনি ডায়ালেসিস করতে না পারলে গা, হাত, পা ফুলে যাচ্ছে। আর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে লাগবে পনের লাখ টাকা, যা তাদের নেই। অথচ বাবাই সংসারে তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাবার অবর্তমানে দুই বোনের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে, থাকতে হবে না খেয়ে। তাই তারা হাত পাতছেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে।
কয়েক দিন ধরে এই দুই বোনকে ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাবার জীবন বাঁচাতে সাহায্য তুলতে দেখা গেছে। কিন্তু এ ভাবে আর কতই বা উঠবে? প্রশ্ন দুই বোনের। জমজ বোন রুমু ঝুমুদের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের বাজারগোপালপুর গ্রামে। বাবা ঢাকার একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিভাগে চাকরি করতেন। কিডনি নষ্ট হওয়ার পর থেকেই বাবার চাকরিও নেই।
বর্তমানে রফিকুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেলের ৯০১ নং ওয়ার্ডের ৪৯ নং বেডে অধ্যাপক ডাঃ নিজাম উদ্দীন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। অবসন্ন শরীর নিয়ে মহাকালের কাছে নিজেকে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন রফিকুল। তার মধ্যে বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি থাকলেও পরিবারের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার।
রুমু ও ঝুমু খুব দ্রুত তার বাবার কিডনি প্রতিস্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন।
সমাজের বিত্তবানরাও এগিয়ে আসতে পারেন রফিকুলের জীবন বাঁচাতে।
পরিবারের সাথে যোগাযোগ ০১৭৬৮-০৯১০০০
আর্থিক সহায়তার জন্য: রওশন আরা (স্ত্রী), সঞ্চয়ী হিসাব নং ২৮৬৬, অগ্রণী ব্যাংক বাজারগোপালপুর শাখা, ঝিনাইদহ।
বিকাশ নং ০১৯৬৪-৪৫৯২২৪ অথবা ০১৯২৬-৫৫৬৭৫৯ (দুটোই ব্যক্তিগত)।