শিক্ষিকাকে রড দিয়ে পেটাল বখাটে

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৭, ১২:৫১

অনলাইন ডেস্ক

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক বখাটে বিদ্যালয়ের ঢুকে রড দিয়ে পিটিয়ে এক শিক্ষিকার দুই হাত ভেঙে দিয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত আহসান উল্লাহ টুটুল (২৫) নামের ওই বখাটেকে গ্রেপ্তার করে।

উপজেলার দক্ষিণ ভুর্ষি ইউনিয়নের পূর্ব ডেঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিসফা সুলতানাকে (২৩) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযুক্ত হামলাকারী আহসান উল্লাহ পূর্ব ডেঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তার বাড়ি ওই স্কুলের পাশে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার) নির্ধারিত সমন্বয় সভা বর্জন করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে হামলাকারীর শাস্তি দাবি করেন।

ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও এলাকাবাসী জানান, ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার) সকাল সোয়া ৯টায় আহসান ওই স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকা মিসফা সুলতানাকে লোহার শাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। এ সময় শিক্ষিকা আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে স্কুলের মাঠে চলে গেলে সেখানেও তাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন আহসান। একপর্যায়ে দক্ষিণ ভুর্ষি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য নাজিম উদ্দিনসহ স্কুলের অন্য শিক্ষক ও এলাকার লোকজন এগিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে এক সপ্তাহ ধরে ওই বখাটে যুবক মিসফাকে উত্ত্যক্ত করত। এ বিষয়টি আমি ওই যুবকের পরিবারকে জানিয়েছি। এরপর ওর বড় ভাই গত শনিবার বিদ্যালয়ে এসে ক্ষমা চান। একই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার বাবা মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান।’

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি শিক্ষিকাকে পেটানোর কথা স্বীকার করেছেন। রডটি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের হাতে আটক টুটুল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে এখন বেকার বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন আহত শিক্ষিকার বাবা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূর মোহাম্মদ।