প্রকাশ্যে ৪ নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৬, ০২:২৪ | আপডেট: ১৫ জুন ২০১৬, ০২:৩০

অনলাইন ডেস্ক

সনাতন ধর্মাবলম্বী ৪ নারীকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে পিটিয়েছে পটুয়াখালীর বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধবপুর বাজারে হত্যা মামলার এক আসামী। এসময় এই পরিবারের ৬টি দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। 

সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ১১ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিন (২৫) নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে ঐ ইউনিয়নের সাবপুরা বাজার এলাকায় সঞ্জিব চন্দ্র ওঝা গংদের সাথে প্রতিবেশি ছালাম হাওলাদার গংদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ সংক্রান্ত একটি মামলা কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। বাজারের প্রধান সড়কের পাশে সঞ্জিব চন্দ্র ওঝা ও তার অপর দুই ভাই শংকর চন্দ্র ও বঙ্কিম চন্দ্র ওঝার ৬টি দোকান ঘর রয়েছে যা ভাড়া দেয়া হয়েছে। 

ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছালাম হাওলাদার তার ভাই কালাম ও আলমগীরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভাড়া দেয়া ওইসব দোকান ঘরগুলো দখল করতে হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীরা সুখ রঞ্জন, ফারুক মোল্লা, শংকর সমাজপতি, বঙ্কিম চন্দ্র, সঞ্জিব চন্দ, শংকর চন্দ্র ওঝা ও পবিত্র চন্দ্র ওঝাকে পিটিয়ে জখম করে। 

খবর পেয়ে বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বঙ্কিম চন্দ্রের মা মঞ্জু রানী (৪৭), স্ত্রী শোলেকা রানী (২৬), গৌতম চন্দ্রের স্ত্রী দ্বিভা রানী (৪২) ও পবিত্র চন্দ্রের স্ত্রী রেভা রানী (২২)। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে পিটায়। এসময় স্থানীয় লোকজন ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। 

এতে মোট ১১ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বঙ্কিম ওঝা ও মঞ্জু রানীকে আশংকাজনক অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, এ হামলার নেত্বত্বে থাকা ছালাম হাওলাদার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আশ্রাব ফকির হত্যা মামলার ৩৯ নম্বর আসামী।