সতর্কতা বাড়াচ্ছে চট্টগ্রামের পুলিশ
প্রকাশ | ১০ মার্চ ২০১৭, ১৪:৩০
গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের কর্নেল হাট এলাকায় র্যাবের অভিযানে একটি হুজি আস্তানার সন্ধান মিললেও গত এক বছরে চট্টগ্রামে তেমন কোনো জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালায়নি পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার কুমিল্লার চান্দিনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে তল্লাশির সময় পুলিশের দিকে বোমা ছুঁড়ে মারে দুই জঙ্গি। পরে তাদের গুলি করে ও ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়।
দুই জঙ্গির মধ্যে মাহমুদুল হাসান নামের একজনকে নিয়ে ওই রাতেই মিরসরাইয়ের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২৯টি হাতবোমা, নয়টি চাপাতি, ২৮০ প্যাকেট বিয়ারিংয়ের বল এবং ৪০টি বিস্ফোরক জেল।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম জানান, নব্য জেএমবির সদস্যরা ওই বাড়িতে বিস্ফোরক তৈরি করত বলে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রিদওয়ান মঞ্জিল নামে দোতলা ওই বাড়ির মালিক পুলিশকে বলেছেন, ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে মাহমুদুলই গত ফেব্রুয়ারির মাসে তার বাড়ির নিচ তলা ভাড়া নেন।
নতুন করে মিরসরাইয়ে এই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মেলার পর শহর জুড়ে সতর্কতা বাড়িয়েছে চট্টগ্রামের পুলিশ।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এলাকায় এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিরসরাইয়ের ঘটনার পর এ অঞ্চলে নতুন কোনো জঙ্গি আস্তানা আছে কিনা তা জানতে গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
পুলিশ সুপার মিনা বলেন, "আগে থেকে নজরদারি থাকলেও সাম্প্রতিক ঘটনার পর সব থানাকে নতুন করে সতর্ক করেছেন তারা। এলাকার মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ব্লক রেইড চালাতে বলা হয়েছে।”
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ জানান, চট্টগ্রাম নগরীতেও পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।