বাল্যবিয়েকে নিরুৎসাহিত করতেই বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন
প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০১৭, ১৬:৫৫
বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন নারী উন্নয়নের অন্তরায় নয় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বাল্যবিয়েকে উৎসাহিত নয়, নিরুৎসাহিত করতেই এ আইন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৮ মার্চ (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ‘নারী-পুরুষ সমতায় উন্নয়নের যাত্রা বদলে যাবে বিশ্ব, কর্মে নতুন মাত্রা’-এ স্লোগানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব একথা বলেন তিনি।
নারী উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রীর অবদান বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। তিনি আজ সাড়া বিশ্বে নন্দিত নেত্রী। দেশে ব্যবসা ক্ষেত্রে এখন ৪২ হাজার নারী উদ্যোক্তা রয়েছে। পাঁচ হাজারের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা নারী। দেশের শ্রমবাজারে ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশই নারী। গার্মেন্ট শিল্পে ৮০ শতাংশই নারী। প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেশকে উন্নতির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
বেসরকারি এনজিও সংস্থা বিএনডব্লিউএলএ, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, বাস্তব ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
এসময় বক্তব্য রাখেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেরানীগঞ্জ সার্কেল পারভেজুর রহমান জুমন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সার্কেল শিউলি রহমান তিন্নী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা মান্না, ঢাকা জেলা যুবলীগ সভাপতি শফিউল আযম খান বারকু, আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, রুহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলী, হযরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নাল ও তারানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক প্রমুখ।