শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার বাদির জবানবন্দি গ্রহণ
প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০১৭, ১৭:৫৪
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলার বাদি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি এড. ওসমান গনি বলেন, মামলার ধার্য দিন মঙ্গলবার দুপুরে শারীরিকভাবে অসুস্থ বাদি হুইল চেয়ারে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জবানবন্দিতে তিনি ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাবার পথে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার বর্ণনা দেন।
এ মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপি ও যুবদলের অনেককে আসামি করা হয়। এ মামলার কয়েকজন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। অন্যরা কেউ জামিনে অথবা জেলে আটক রয়েছেন। আদালত মামলাটির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ১৪ মার্চ।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের এপিপি এড. তামিম আহমেদ সোহাগ জানান, কলারোয়ার হিজলদির এক মুক্তিযোদ্ধাপত্নী ধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসে তাকে দেখে তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে যশোরে ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় কলারোয়ায় পৌঁছালে তার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। হামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী অক্ষত থাকলেও তার কয়েকজন সফরসঙ্গী আহত হন। এ সময় তাদের গাড়িও ভাংচুর হয়।
এঘটনায় তৎকালীন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্ত তৎকালীন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া মামলাটি রেকর্ড করেননি। ফলে বাদি সাতক্ষীরা নালিশি আদালতে মামলা করেন।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কলারোয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও পুলিশ শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
২০০৪ সালে বাদি নিম্ন আদালতে বিচার না পেয়ে আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেন। উচ্চ আদালত ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই মামলাটি সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল আদালতে পাঠিয়ে তা পুনর্বিবেচনার আদেশ দেন।
সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তখন শুনানি শেষে কলারোয়া থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। এরপর থেকে মামলাটি দ্বিতীয় দফায় কার্যক্রম শুরু হয়।