সিফাত হত্যা মামলার রায় আজ
প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৩:২১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলার রায় আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হবে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহমেদ যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন।
এই রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সাজা হবে কি না তা জানা যাবে।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান বলেন, সিফাতের স্বজনসহ তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছে। মামলার চার আসামির মধ্যে সিফাতের স্বামী মোহাম্মদ আসিফ প্রিসলি আছেন কারাগারে। আর আসিফের বাবা অ্যাডভোকেট হোসেন মোহাম্মদ রমজান, মা নাজমুন নাহার নজলী এবং প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান জামিনে রয়েছেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বাড়িতে ওয়াহিদা সিফাতের মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সিফাত আত্মহত্যা করেছে বলে প্রথমে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করলেও আদালতের নির্দেশে রংপুর মেডিকেল কলেজের তিন সদস্যের বোর্ড দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আঘাতজনিত কারণে সিফাতের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে।
এ ঘটনায় মহানগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এ মামলায় যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। বাদীপক্ষের আবেদনে গত বছরের ১২ জুলাই মামলাটি রাজশাহী থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এ স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে গত বছরের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আহমেদ আলী চারজনের বিরুদ্ধে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আলোচিত এ মামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করে সিফাতের ছোটভাই কে এম আসিফ-উল-ইসলাম বলেন, আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
মামলার বাদী ও সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার বলেন, ‘আমরা আমাদের মেয়েকে হারিয়েছি। তাকে আর ফিরে পাব না। তবে তাকে হত্যার ন্যায়বিচার আমরা দেখতে চাই। আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমাদের। আশা করি, আমাদের মেয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন আদালত।’
বিশেষ কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান জানান, আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৩২ জনের মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।