মা-মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৬, ১৬:৫৩
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মা ও মেয়ে অচেতন করে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা বাউফল থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ মা ও মেয়ের জবানবন্দি প্রদান এবং আসামিকে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠিয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী জানান, উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সনাতন ধর্মাবলম্বী এক দর্জি কারিগরের স্ত্রী (৩৫) ও তার মেয়ে (১৭) শনিবার(১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে সোহেল নামের এক যুবক পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাদের মোটরসাইকেলে উঠিয়ে মুখে স্প্রে করেন।
মা ও মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাদের কালাইয়ার শৌলা পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মা-মেয়েকে নিমতিঘাট থেকে ট্রলারে উঠিয়ে রাত ১০টার দিকে কেশবপুর ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া চরে নেওয়া হয়। এ সময় ট্রলারে আগে থেকে থাকা পাঁচজন যুবক মোটরসাইকেল চালক সোহেলের সহযোগিতায় মা-মেয়েকে ধর্ষণ করে। হঠাৎ চেতনা ফিরলে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে। চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু নূর আলম নামের একজনকে ধরে ফেলে তারা। পরে নূর আলম ও মা-মেয়েকে তালতলী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাবলু জানান, বাউফল থানা পুলিশকে খবর দিলে রাত ১২টার দিকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তিন বোনের মধ্যে সে বড়।
বাউফল থানার পুলিশ জানায়, স্ত্রী-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে দর্জি কারিগর বাউফল থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামি নূর আলমকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠিয়েছে। তার বাড়ি নাজিরপুর ইউনিয়নে। এ ছাড়া ভিকটিমদের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।