স্ত্রী হত্যা, লতিফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল
প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:০৭
![](/assets/news_photos/2017/02/13/image-6017.jpg)
সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল লতিফের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ ১৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নিম্ন আদালতে তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান ও শাপলা খাতুনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। এরা দু’জনই নিহতের শ্বশুর-শাশুড়ি।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০১ সালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বটগাড়ি গ্রামের মৃত মহিরউদ্দিন সরকারের পুত্র লতিফের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মাসুদা খাতুনের (২৫)। বিয়ের সময় মাসুদার স্বামীকে ৯০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। এরপরেও বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয় লতিফ। কিন্তু যৌতুক এনে না দেওয়ায় বিভিন্ন সময়ে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয় এবং তাতে মাসুদার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৭ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানায় স্বামী লতিফ এবং তার পিতা-মাতাকে আসামি করে মামলা করে নিহতের পিতা মোহসীন আলী। ঘটনার তদন্ত করে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এই হত্যা মামলায় লতিফকে মৃত্যুদণ্ড এবং তার পিতা-মাতাকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে।
পাশাপাশি আসামিরা নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিলকারীগণের পক্ষে আইনজীবী সালেহউদ্দিন আহমেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট লতিফের আপিল খারিজ করে দিয়ে নিম্ন আদালতের দেয়া ফাঁসির রায় বহাল রাখে। এছাড়া খালাস চেয়ে হাবিবুর ও শাপলা খাতুনের আপিল গ্রহণ করে হাইকোর্ট। ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, অপরাধের গভীরতা বিবেচনা করে হাইকোর্ট ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে।