জামাতাকে হত্যার অভিযোগে শাশুড়িসহ আটক ৬
প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৪৫
খুলনার রূপসা উপজেলায় মেয়ের জামাতা খায়রুল ইসলাম পরাগকে (২৫) শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাশুড়িসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- পরাগের স্ত্রী তামান্না, শাশুড়ি, মামা শ্বশুর, তামান্নার প্রেমিক শাকিলসহ মোট ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
১৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার তিলক গ্রামের তরফদার বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে পরাগের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরাগ রূপসা উপজেলার দক্ষিণ খাজাডাঙ্গা গ্রামের খুতুবুর সরদারের ছেলে। তিনি পোল্টি ফিড ব্যবসায়ী ছিলেন।
আটক খায়রুলের স্ত্রী তামান্না ও তার শাশুড়ি খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
নিহতের চাচাতো ভাই সরদার কামাল হোসেন জানান, তিলক গ্রামের মৃত মুরাদ শেখের মেয়ে তামান্নার সঙ্গে পরাগের চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি বিয়ে হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) রাত ১০টায় পরাগ শাশুড়ির ফোন পেয়ে নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে রওনা হন। এরপর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার সঙ্গে প্রায় দুই লাখ টাকাও ছিলো। ওই রাত সাড়ে ১২টায় শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করলে সেখানে যায়নি বলে তারা জানান।
এরপর সারারাত খোঁজাখুঁজির পর এক পর্যায় রক্তের দাগ দেখে তরফদার বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে তার লাশ দেখতে পাই। পরাগকে খোঁজার সময় রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও সঙ্গে ছিলেন বলে তিনি জানান। তবে পরাগের মোটরসাইকেল ও টাকা পাওয়া যায়নি।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পরাগের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী তামান্না, শাশুড়ি, মামা শ্বশুর, তামান্নার প্রেমিক শাকিলসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাশুড়ি, স্ত্রী ও মামা শ্বশুর হত্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।