কিশোরীকে ৮ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ
প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:৫৫
‘প্রেমের টানে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে এসে’ প্রেমিক ও তার সহযোগীদের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী। শরীরে চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করে টানা আট দিন আটকে রেখে তাকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৯ জানুয়ারি বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়ার প্রেমের টানে ঘর ছাড়েন পার্শ্ববর্তী উপজেলার কিশোরী। ঘটনার তিন দিন পর তার ভাই ছাতক থানায় নিখোঁজ হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়েরি করেন। এদিকে কিশোরীকে এনে বাড়ির পাশের দোকানে আটকে রাখে প্রেমিক রুবেল। শরীরে পুশ করা হয় চেতনানাশক ইনজেকশন। টানা আটদিন প্রেমিক ও তার সহযোগীরা তার উপর চালায় পাশবিক নির্যাতন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রুবেল একটি অটো ভাড়া করে অচেতন অবস্থায় কিশোরীকে সিলেট শহরে পাঠিয়ে দেয়। ফোনে তার ভাইকেও তার অবস্থান জানানো হয়। খবর পেয়ে কিশোরীর ভাই নগরীর কাজির বাজার ব্রিজের উপর থেকে নির্যাতিতা বোনকে উদ্ধার করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা অটোরিক্সার চালক বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মৃত আব্দুন নুরের ছেলে গফুর আলীকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করে। কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির জন্য বিশ্বনাথ-ছাতক-দক্ষিণ সুরমার অনেক জনপ্রতিনিধি উভয়পক্ষকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। আগামি ১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বিষয়টি নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান হাজী মকন মিয়া বলেন, আমি অভিযুক্তদের এলাকার মুরব্বিদের ডেকে এনেছি। তারা বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। আর অটোরিক্সাটি সিলেট বাবনা স্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদকের জিম্মায় রয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তাজ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামি রবিবার মেয়েটিকে ক্ষতিপূরণবাবদ সাড়ে তিন লাখ টাকা (অভিযুক্তদের কাছ থেকে) দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম পিপিএম ও ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ আশেক সুজা মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।