‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশ হবে’
প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৩:৩১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলকে স্ব স্ব জায়গা থেকে স্ব স্ব ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের সঙ্গে ছেলে-মেয়েরা সংশ্লিষ্ট না হয়।
আমরা চাই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশ হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্নত ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বের একটি নতুন ‘সংকট’ হিসাবে তুলে ধরে ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এ সংকট মোকাবিলায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছে, সশস্ত্র বাহিনীও এ বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি হয়- এমন কিছু ঘটুক তা কখনোই কাম্য নয়। সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাবাদের বিরুদ্ধে উদ্যোগী হতে বলেছেন তিনি।
এসময় মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ থেকে ২০১৬-২০১৭ বর্ষে গ্র্যাজুয়েশন করা অফিসারদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫৮ জন, নৌ বাহিনীর ২৭ জন ও বিমান বাহিনীর ২৪ জন এবং চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কুয়েত, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ফিলিস্তিন, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, উগান্ডা, যুক্তরাষ্ট্র ও জাম্বিয়ার ৭১ জনসহ মোট ২৮০ জন অফিসার এ কোর্সে অংশ নেন।
তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ১০ মাস অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আজ তোমাদের পূর্ণতাপ্রাপ্তি ও আনন্দের দিন।
সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজকে বাংলাদেশের একটি ‘ঐতিহ্যবাহী এবং স্বনামধন্য’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
গ্র্যাজুয়েট অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আজ তোমরা সমর বিজ্ঞানের উপর উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেছ। আমার বিশ্বাস, এ প্রশিক্ষণ অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালনে এবং যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তোমাদের আরও আত্মপ্রত্যয়ী হতে শেখাবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ডেন্ট মেজর জেনারেল মোঃ সাইফুল আবেদীন। পরে প্রধানমন্ত্রী গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং কেক কাটেন।