যৌতুকের দাবিতে এমন নির্যাতন!
প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৩:১৯ | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৩:৪৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে দীর্ঘ এক মাস ঘরে আটকে রেখে স্বামী-সতীন, দেবরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই গৃহবধূর চুল কেটে, গলায় জুতার মালা পরিয়ে ও বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।
রবিবার উপজেলার তারাব এলাকা থেকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত দেবরকে আটক করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিত ওই গৃহবধূ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে তারাব এলাকার আরব আলীর ছেলে কোরবান আলীর সঙ্গে তারাব বাজার এলাকার মায়া নামের এক নারীর বিয়ে হয়। ছয় মাস আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কোরবান আলী তারাব দক্ষিণপাড়া এলাকার ওই নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই ওই নারীর সতীন মায়া, স্বামী কোরবান আলী, দেবর শিপু, ফুফু শাশুড়ি শেলিসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় বিচার-সালিশ হওয়ার পর কিছুদিন নির্যাতন বন্ধ ছিল। মাস খানেক ধরে ঘরে আটকে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীর ওপর ফের নির্যাতন চালানো হয়।
রবিবার সকালে ওই নারীর হাত-পা বেঁধে ফেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে প্রকাশ্যে জোর করে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে কাঁচি দিয়ে ওই গৃহবধূর চুল কেটে ফেলা হয়।এ ছাড়া লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ওই নারীর মা বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে নির্যাতিত গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত দেবর শিপুকে আটক করা হয়। তবে স্বামী-সতীনসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।