মিতু হত্যাকাণ্ড: সন্দেহভাজন যুবক গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ১১ জুন ২০১৬, ১৮:২২
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার শীতল ঝর্ণা আবাসিক এলাকা থেকে সন্দেহভাজন এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম শাহ জামান ওরফে রবিন (২৮)।
ইকবাল বাহার জানান, গ্রেপ্তার শাহ জামানের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে। তার বাবার নাম শাহজাহান। সে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “এলাকায় তার অবস্থান সন্দেহজনক। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।”
মিতু হত্যার পর সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়াদের মধ্যে সে একজন বলে ধারণা করছি।”
মিতু হত্যার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হত্যাকাণ্ডের আগে পুলিশ সুপারের স্ত্রী মিতু তার সন্তানকে নিয়ে ওআর নিজাম রোড থেকে বের হওয়ার পর এক যুবক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে হত্যাকাণ্ডস্থলের দিকে এগিয়ে যায়।
সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, “রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে যে ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কথা বলে যাচ্ছিল, শাহ জামান সে ব্যক্তি হতে পারে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
রবিবার এ হত্যায় মামলায় শাহ জামানকে আদালতে পাঠানো বলে জানান তিনি।
এসপিপত্মী হত্যার নিন্দা জানিয়ে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার বিবৃতির বিষয়ে ইকবাল বাহার বলেন, একজন নিরাপরাধ গৃহবধুকে মারা হয়েছে যার লেবাস পরিপূর্ণ ইসলামী। এ কারণে তারা নিজেদের বাঁচাতে কিংবা জড়িত না থেকেও এ ধরনের বিবৃতি দিতে পারে। আমরা সব বিবেচনা করে কাজ করছি।”
এদিকে দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযানের প্রথমদিনে শুক্রবার চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
তিনি বলেন, “দুই ধরনের অভিযান আছে- একটা ব্লক রেড ও অন্যটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে। দুটি অভিযানই চলছে। আমি কোয়ালিটি অ্যারেস্টের পক্ষে।”
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মিতু হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ছোরাসহ এক যুবককে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, “একবার পাওয়া যাচ্ছে সে ভবঘুরে, আবার রিকশাওয়ালা। সে কেন ওখানে গিয়েছিল এবং সবকিছু মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।”
আটক কালো মাইক্রোবাস বিষয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, “এখন পর্যন্ত মাইক্রোবাসে সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। মাইক্রোবাসটি আবুল খায়ের কোম্পানির কর্মকর্তাদের আনা নেওয়া করে। প্রতিদিন ওই পথে যায়। তবে এর চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (৫ জুন) সকাল পৌনে ৭টায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে নগরীর জিইসি মোড়ে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রামে জঙ্গি দমনে বেশ কয়েকটি অভিযানে নেতৃত্বদাতা পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের স্ত্রী মিতু। তাকে ছুরি মেরে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ নিয়ে এসপিপত্নী হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানালো পুলিশ। এর আগে গত বুধবার হাটহাজারী থেকে আবু নসুর গুন্নু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কর্মী বলেছে পুলিশ।
এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজে হত্যকাণ্ডের পর চলে যাওয়া কালো রংয়ের মাইক্রোবাসটি চালকসহ আটক করেছে পুলিশ।