হবিগঞ্জে হিন্দু বাড়িতে হামলা, নারীসহ আহত ৮

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:৫৬

অনলাইন ডেস্ক

হবিগঞ্জে এক হিন্দু পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে।

২৯ জানুয়ারি (রবিবার) সকাল ১০টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সিট ফরিদপুর গ্রামের সুত্রধর পল্লীতে এ ঘটনা ঘঠে। হামলায় নারীসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সিট ফরিদপুর গ্রামের সুত্রধর পল্লীর রতিশ সূত্রধর গংদের সাথে ভূমি দখল ও নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার জেরে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়া ও তার ভাই যুবলীগ নেতা শামিম মিয়ার।

গেল ইউপি নির্বাচনে হারুন মিয়াকে ভোট না দেওয়ায় যুবলীগ নেতা শামিম ও সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়া গংরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিল বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন। ২৮ জানুয়ারি (শনিবার) বিকেলে রতিশ সূত্রধরের আত্মীয় পিন্টু সুত্রধর ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেন শামিম মিয়া। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় রতিশ সূত্রধরের আত্মীয় ও সুত্রধর পল্লীর লোকজনকে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করেন শামিম গংরা।

সুত্রধর পল্লীর লোকজন জানান, শনিবার বিকেলের ঘটনার জের ধরে ২৯ জানুয়ারি (রবিবার) সকাল ১০টার দিকে সুত্রধর পল্লীতে গিয়ে হামলা চালায় সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়া ও তার ভাই যুবলীগ নেতা শামিম মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক। তারা সুত্রধর পল্লীর বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। এ সময় তাদের হামলায় আহত হন মহিলাসহ ৮জন লোক। এদের মধ্যে রতিশ সুত্র ধর (৫৫), সুরঞ্জিত সুত্র ধর (৩০), পিন্টু সুত্র ধর (৩০), দিপালি সুত্র ধর (৪৫) কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এবং অপর আহত চিত্ররঞ্জন সুত্র ধর (৫০), কাঞ্চন সুত্র ধর (৩০), নিল মনি সুত্র ধর (৪০), বিরেন্দ্র সুত্র ধর (৪৫)সহ অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা শামিম মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়াসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নির্বাচনে ভোট না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন,বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি নারায়ন রায়, কালীপদ ভট্টাচার্য্য, বাদল কৃষ্ণ বনিক, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল, দপ্তর সম্পাদক অমলেন্দু সুত্রধরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।