'বাংলাদেশ কোন জঙ্গি রাষ্ট্র নয়'
প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:০৪ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:৪১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কোন জঙ্গি রাষ্ট্র নয়। জঙ্গি দমনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। জঙ্গিবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দাতাদের বর্তমান সরকার কোন ধরনের ছাড় দেবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সাথে কোস্টগার্ডও জঙ্গি দমনে ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জাহাজ দুটি হচ্ছে সৈয়দ নজরুল এবং তাজউদ্দিন আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় কো্স্ট গার্ড আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। মানবপাচার, চোরাচালান রোধসহ কোস্ট গার্ড নানা কাজ করছে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কোস্ট গার্ডকেও কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ আজ অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কোস্ট গার্ডকে চারটি জাহাজ দেওয়ার কথা বলেছিলাম। এগুলো ইতালি থেকে আনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ সিজিএস তাজউদ্দীন আহমদ ও সিজিএস সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাহাজ দুটি কমিশন করলাম। এ বছরই অন্য দুটি জাহাজ- সিজিএস মনছুর আলী ও সিজিএস কামরুজ্জামান কমিশন করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেশের সমুদ্রবন্দর ও বহির্নোঙ্গর এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজের অব্যাহত নিরাপত্তা প্রদানে কোস্টগার্ডের কর্মতৎপরতা বর্হিবিশ্বে সমাদৃত। এ কারণেই চট্টগ্রাম বন্দর আন্তজার্তিক মেরিটাইম ব্যুরোর বিবেচনায় নিরাপদ বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
কোস্টগার্ডের সীমাবদ্ধতা কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোস্ট গার্ডের সীমাবদ্ধতার কথা আমার জানা আছে। এজন্য লোকবল নিয়োগ ও জলযান সরবরাহের বিষয়টি আমার মাথায় আছে। দেশের মানুষের সেবায় আপনারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মানুষের সেবায় আপনারা আরো কাজ করে যাবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
কোস্ট গার্ডের জাহাজ দুটি তৈরি করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান। দুদেশের মধ্যে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্রসচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, তিন বাহিনী প্রধান এবং কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরীসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারি উদ্ধতন কর্মকর্তা এবং রাজনীতিকরা।