গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৩ মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর
প্রকাশ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:১২
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৩টি মন্দিরের অন্তত ২০টি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।
৪ জানুয়ারি (বুধবার) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জামাই বাজার ডুমুরিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, হরি মন্দির ও রাধাগোবিন্দ মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সবুর ও সোয়েব নমে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিরাপদ বসু বলেন, বুধবার রাতে মন্দিরের গ্রিল ভেঙে দুর্বৃত্তরা মন্দিরে প্রবেশ করে দুর্গা মন্দির, হরি মন্দির ও রাধা গোবিন্দ মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা মন্দিরে অগ্নি সংযোগ করে।
ডুমরিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শুখময় বাইন অভিযোগ করে বলেন, জামাই বাজার সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি একটি লক গেট নির্মাণ করে। গেট এলাকার সরকারি জায়গায় উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এজাজ শেখ ও সিরাজ শেখ জোর করে দোকান ঘর তুলতে গেলে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকরা বেশ কয়েক দফা বাধা দেয়। বুধবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিটিয়ে দেয়। রাতে এজাজ শেখকে ওই এলাকায় ৮/১০ জনকে নিয়ে মিটিং করতে দেখা গেছে। সকালে আমরা মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর দেখতে পাই।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে মন্দিরের পূজারি কমলা রানী বালা মন্দিরে এসে মূর্তি ভাঙচুর দেখে গ্রামবাসীকে খবর দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হিন্দু জনসাধারণ ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক মো. মোখলেসুর রহমান সরকারসহ পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন ও এ ঘটনার খোঁজ খবর নেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মাহামুদুল হক বলেন, দোকান-ঘর তোলার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবদের জন্য দুজনকে আটক করেছি। থানায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আভযোগ দায়ের করার পরই মামলা দায়ের করা হবে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।