১০ মাসে ৮৫ টি বাল্য বিয়ে বন্ধ
প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ২৩:১৮
ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলা প্রশাসন বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। গত ১০ মাসে ৮৫ টি বাল্য বিয়ে বন্ধ, ২৫ টি বিয়েতে মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে জেল-জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।
মহেশপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই দপ্তরটি সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের বেশকিছু সেবা প্রদান করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহিলা আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম, দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল, ভিজিডি কার্যক্রম, প্রশিক্ষন কার্যক্রম, যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ।
গত ১০ মাসে এই উপজেলায় প্রশাসন ৮৫টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ২৫টি বাল্য বিবাহের অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাল্য বিয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কনে ও বরের পরিবারকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। ফলে পূর্বের বছরের থেকে এ বছর অনেকাংশে বাল্য বিয়ের কমে এসেছে। এই দপ্তরে গত ১০ মাসে ৭০টি যৌতুক ও নারী শিশু নির্যাতন প্রতিকার চেয়ে আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিচারের মাধ্যমে ৬৫টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
বর্তমানে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও নারী উন্নয়ন ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এই দপ্তর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নারী নির্যাতন, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিং বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করছেন। দপ্তরটি ইতিমধ্যে ২৩ জন মহিলাকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ দিয়েছে। ৬৯৬ জনকে ২০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হয়েছে এবং ১২ টি ইউনিয়নে ৮শ ১২জন ভিজিডি উপকারভোগীর মাঝে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করে আসছে। এছাড়া অনেক স্কুলে মা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছে। স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছে, আগের তুলনায় এই দপ্তরের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের এই কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে এবং অচিরেই ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে মহেশপুরকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হবে।