তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়
প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:৩৯ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:২২
পৌষমাস আসতে আরও বেশ কয়েকদিন বাকি। কিন্তু এর মধ্যেই পঞ্চগড়ের পাহাড় থেকে নেমে এসেছে হাড় কাঁপানো শীত।
শীতের বুড়ি যেন দাঁত কামড়ে জাপটে ধরেছে উত্তরাঞ্চলের এই জনপদকে। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমবায়ুর প্রভাবে কঠোর এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। কঠিন এক সময় পার করছেন এখানকার দরিদ্র মানুষেরা। এক বেলা খাবার থেকেও একখণ্ড শীতের কাপড় এখন অনেক বেশি জরুরি তাদের কাছে। এদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষের আয় উপার্জনও কমে গেছে। কয়েকগুন কষ্টও বেড়েছে তাদের।
এক সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বইছে হিমেল হাওয়া। তাপমাত্রার পারদও নামছে তর তর করে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১১ থেকে ১৩ এর মধ্যে উঠা নামা করছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন অনেকেই। আবার কেউ গরম কাপড় পরে বেড়িয়ে পড়ছেন জীবিকার তাগিদে। গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশার বুক চিরে ভোরের সূর্যোদয় হয় বেলা বারোটার দিকে।
তাই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। সন্ধ্যে নামলেই সুনসান নিরবতা নেমে আসছে পুরা পঞ্চগড় শহরজুড়ে। আগে ভাগেই ঘরে ফিরছেন সবাই। সন্ধ্যার পর পরেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারদিক। এতে করে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে যানবাহন চালাতে হচ্ছে চালকদের। গভীর কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে দিনের বেলাতেও। সন্ধ্যার পর থেকে রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে শীতের মাত্রাও। বিশেষ করে রাত ১০টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বাড়ে এবং তা অব্যাহত থাকে সকাল ১১টা পর্যন্ত।
লাঙ্গল গাঁও গ্রামের অছিরন (৬০), পানিমাছ পুকুরীর আবদুল হালিম (৭০) জানান, কঠিন শীত পড়ছে বাহে। হামার শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য নাই। খরখুটো জ্বালিয়েই আগুন পোহাছি তাই।
জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল জানিয়েছেন, সরকারি উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা শুরু হয়েছে দরিদ্রদের মাঝে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে জেলা প্রশাসকের ত্রাণ শাখায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে শীতের কাপড় পাঠাচ্ছেন সরকারি-বেসকারি সংস্থা। এরমধ্যে পঞ্চগড় জেলায় সরকারিভাবে ২১ হাজার ৪১০ পিস কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এগুলো বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।