'বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা চলছে'
প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:৫৮ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:১৮
বিশেষ পরিস্থিতিতে আদালত ও অভিভাবকদের সম্মতিতে মেয়েদের ১৮ এর আগেই বিয়ের সুযোগের অপব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কন্যা শিশুর ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয়-এই নীতিতে অটল আছে সরকার।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ, দুঃস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন ও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেন তিনি। জেলা প্রশাসন, জেলা মহিলা অধিদপ্তর, জেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম ও জাতীয় মহিলা সংস্থা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের সংশোধনী প্রস্তাবে কোনো মেয়ে গর্ভবতী হলে তার যে কোনো বয়সেই বিয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, বিশেষ সুবিধা নেয়ার প্রবণতা বাড়বে এবং এ কারণে বাল্যবিয়ে আরও বেড়ে যাবে।
নারী অধিকারকর্মীরা আইনটি পাস না করতে অনুরোধ জানালেও বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) তা সংসদে উত্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। এক মাসের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, "বাল্য বিবাহের নতুন আইনের বিশেষ ধারা নিয়ে কেউ কেউ ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে"।
অবশ্য এই ভুল ব্যাখ্যাটি কী সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, "বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য কর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে"।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্ঠান। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শাহিন আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জজ কোর্টের পিপি আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহজাহান শেখ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আযম খান আপেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে জেলার একশ দুঃস্থ মানুষের মধ্যে সেলাই মেশিন, ২২ জনকে ১০ হাজার টাকা এবং ২৩ জনকে ১৫ হাজার টাকা করে ঋণ বিতরণ করা হয়।