সাদুল্যাপুরে ৪ হাজার নারী-পুরুষকে আসামি করে মামলা

প্রকাশ : ০৯ মে ২০১৬, ১২:৫২

জাগরণীয়া ডেস্ক

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় ইউএনও, বিজিবি, পুলিশের এএসপি ও আনছার সদস্য আহত ও পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে।

সাদুল্যাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রনি কুমার দাস বাদি হয়ে রবিবার (৮ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে সাদুল্যাপুর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ধাপেরহাট ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নওশাকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩-৪ হাজার অজ্ঞাতপরিচয় নারী-পুরুষকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার দুপুরে একই ঘটনায় সাদুল্যাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রামজীবন ভৌমিক বাদি হয়ে সাদুল্যাপুর থানায় একটি মামলা করেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে দুটি মামলা করল। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।

মামলার বরাত দিয়ে সাদুল্যাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রনি কুমার দাস কে জানান, চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আ.লীগের (বিদ্রোহী) প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নওশা ও তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ আশঙ্কার গুজব ছড়িয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধাপেরহাট বন্দরের ফাইভস্টার মোড়ে অবস্থান নিয়ে গাছে গুড়ি ফেলে অবরোধ করে।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ ইমরুল কায়েস কে জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে। এসব আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত