কড়াইল বস্তিতে আবার আগুন!
প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:৪৩ | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:০৩
নয় মাসের ব্যবধানে আবারও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে। রবিবারের এই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বস্তির কয়েকশ ঘর।
গুলশান লেকের দুই তীরে দেড়শ একরের বেশি জমির ওপর বিশাল এলাকা নিয়ে অবস্থিত ওই বস্তিতে কয়েক লাখ লোক বাস করে। দুপুরে ব্র্যাক সেন্টারের উত্তর পাশে বস্তির একটি অংশে লাগার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায় বহু দূর থেকেও।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান মফিজ বলছেন, এ ঘটনায় পাঁচশর বেশি ঘর পুড়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; গৃহহীন হয়েছে সহস্রাধিক মানুষ। স্থানীয়দের কাছে বস্তি এলাকার একটি দোকান থেকে আগুন লাগার কথা শুনেছেন বলে জানান তিনি।
তবে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বা অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি অগ্নি নির্বাপক বাহিনী। প্রাথমিকভাবে হতাহতেরও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের ওসি এনায়েত হোসেন জানান, বেলা আড়াইটার পর ওই বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের ১৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে। পৌনে দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা ৪টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজ বলেন, “সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাবরের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানীর বুকের মধ্যে গড়ে ওঠা এই বস্তি পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালকসহ ঢাকার বহু নিম্ন আয়ের মানুষের ঠিকানা। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই বস্তি মাদকের কারবারি ও অপরাধীদের একটি বড় আখড়া হিসেবেও পরিচিত। ঢাকার সবচেয়ে বড় এই বস্তিতে এর আগে গত ১৪ মার্চ আগুন লেগে অর্ধশত ঘর পুড়ে যায়, অন্তত দুই জন আহত হন।
২০১২ সালে ওই জমির মূল মালিক বিটিসিএল আদালতের আদেশ নিয়ে কড়াইলে জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে। প্রথম দিনের অভিযানে চারশ' ঘর উচ্ছেদ করা গেলেও দ্বিতীয় দিন হাজার হাজার বস্তিবাসী গুলশান-মহাখালী এলাকার সড়কে নেমে ওই এলাকা কার্যত অচল করে দেয়।