‘বিনা বিচারে’ বন্দি ৪ নারীকে হাজিরের নির্দেশ

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:০৯

অনলাইন ডেস্ক

পৃথক চার হত্যা মামলায় ‘বিনা বিচারে’ কারাগারে বন্দি থাকা চার নারীকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না-জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে এ আদেশ দেন।

আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওই চার নারীকে হাজির করতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা এ চার নারীর কারাবন্দি থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

চার নারী হচ্ছেন- সুমী আক্তার রেশমা, শাহনাজ বেগম, রাজিয়া সুলতানা ও রাণী ওরফে নুপুর।
 
সুমি আক্তার রেশমা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার ধর্মগঞ্জের আশরাফ আলীর মেয়ে সুমী আক্তার রেশমা। ২০০৮ সালে রাজধানীর শ্যামপুর থানার একটি হত্যা মামলায় (৩০২/৩৪ ধারা) ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন তিনি।

ঢাকার মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় ৫০ বার হাজির করা হয়েছিলো রেশমাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর হাজির করা হয় তাকে।

শাহনাজ বেগম
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ইলমদি গ্রামের আলম খালাসী মেয়ে শাহনাজ বেগম। ঢাকার দোহার থানায় ২০০৮ সালে দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় (৩৯৪/৩০২/২০১/৪১১/৩৪ ধারা) ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।

মামলাটি বর্তমানে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৮ম আদালতে বিচারাধীন রয়েছেন।চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পযন্ত তাকে ৭৬ বার ওই আদালতে হাজির করা হয়েছে।

রাজিয়া সুলতানা
গাজীপুরের টঙ্গী থানার বেদেবহর এলাকার উকুল উদ্দিনের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা। ২০০৯ সালে তুরাগ থানায় করা এক হত্যা মামলায় (৩০২/৩৬৪/৩৪) ওই বছরের ২১ মে থেকে কারাগারে বন্দি তিনি।

ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতে বিচারাধীন মামলায় ৬০ বার তাকে হাজির করা হয়েছিলো। সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ আগস্ট হাজির করা হয় তাকে।

রাণী ওরফে নুপুর
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বোরকা নতুন বাজার গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে রাণী ওরফে নুপুর। রাজধানীর রমনা থানায় ২০০৯ সালের একটি হত্যা মামলায় (৩০২ ধারায়) একই সালেল ২১ নভেম্বর থেকে কারাবন্দি আছেন।

বিচারাধীন এ মামলায় তাকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে ৬৫ বার হাজির করা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ আগস্ট হাজির করা হয়।