কিশোরীকে প্রেমিকসহ ১০ জন মিলে ধর্ষণ
প্রকাশ | ০৫ জুন ২০১৬, ২০:৫৩ | আপডেট: ০৫ জুন ২০১৬, ২১:১০
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। গত ১ জুন ওই কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে অটোবাইকে তুলে পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়ান। পরে রাত ৯টার দিকে জয়মনিরহাট লেফটেন্যান্ট শহীদ সামাদ টেকনিক্যাল কলেজের একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
জুয়েলের পর কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন- গ্রাম পুলিশ শাহজাহান আলী এবং জুয়েলের সহযোগী বাবুল বাদশাহ (২০), আবু হানিফ (৩৫), আব্দুর রহিম (২৮), খাইরুল হক (২৬), সুজন মিয়া (২২), হাবিজুল (৩০) ও নওসের আলী (২৮)। পরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কিশোরীকে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
পরদিন ২ জুন সকালে কিশোরীর পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার মা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ সরকারের কাছে ধর্ষকদের বিচার দাবি করেন। চেয়ারম্যান সুষ্ঠু বিচার এবং ধর্ষক জুয়েলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত বিচার কিংবা বিয়ের কোনও ব্যবস্থা করেন নাই। পরে এ খবর জানাজানি হলে জুয়েলসহ সহযোগী গা ঢাকা দেয়।
গত ৩ জুন শুক্রবার কিশোরীর পরিবার মামলা করার জন্য ভুরুঙ্গামারী থানায় যায়। এই সময় দুই ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান ও সিদ্দিক আলী ওই কিশোরীকে জুয়েলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে মামলা করতে না দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এরপর এই ব্যাপারে কোনও সুরাহা না হওয়ায় ৪ জুন শনিবার ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ০২-তারিখ ৪/৬/২০১৬।
এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ধর্ষিতা বাদি হয়ে তার প্রেমিক জুয়েলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এজাহারে শুধু জুয়েল তাকে ধর্ষণ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রবিবার কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নজরুল ইসলাম জানান, রবিবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত তিনি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।