জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় আত্মহত্যা
প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:৩৪
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ‘জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা’ করায় এক প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে; এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সাবিনা ইয়াসমীন (১৩) একই উপজেলার চরলক্ষ্মী নারায়ণ গ্রামের সুলতান হোসেনের মেয়ে। সে এ বছর রুদ্রকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।
পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এমারত হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মধ্যপাড়া থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পরিদর্শক এমারত জানান, "সাবিনার মা রুমা বেগম, ভাই সাব্বির হোসেন ও নানি মাকসুদা মিলে তার বিয়ের আয়োজন করেন। সাবিনাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে”।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, সাবিনার মা রুমা ও ভাই সাব্বির তাকে মারধর করার পর একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরলে তার মৃত্যু হয়।
পরিদর্শক এমারত বলেন, "সোমবার সন্ধ্যায় গোপনে লাশ দাফন করা হচ্ছিল। এমন সময় পুলিশ গিয়ে কাফনের কাপড় পরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসাপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক এমারত। আটককৃতরা হলেন - সাবিনার নানি মাকসুদা বেগম ও ঘটক রহিমা বেগম।
এছাড়া সাবিনার মা ও ভাই পলাতক থাকলেও তাদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।