বিক্রি হওয়া বাংলাদেশের ১৪ তরুণীকে হস্তান্তর

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:০৩ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:৩৩

অনলাইন ডেস্ক

গত দুই বছরের বিভিন্ন সময়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি হওয়া ১৪ তরুণীকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত। 

পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে  দুই দেশের সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে তাদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের সহায়তায় যশোর জেলার ‘রাইট যশোর বিএনডব্লিউএলএ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই ১৪ জনকে।

জানা যায়, গত দুই বছর ধরে ওই ১৪ বাংলাদেশি তরুণীকে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিভিন্ন যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয় পাচারকারীরা। রাজ্যের মুম্বাই নগরীর  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেসকিউ ফাউন্ডেশন গত এক বছর ধরে মুম্বাই, রাজ্যের পুনে ও থানের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই ১৪ বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করে। এরপর তাদের মুম্বাইয়ের একটি নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিভিন্ন হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চলতে থাকে তাদের বাংলাদেশের ফেরত পাঠানোর আইনি প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের আইন মেনে সোমবার তাদের নিজ দেশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। 

মুম্বাই রেসকিউ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ত্রিবেনী আচার্য বলেন, ১৪ জন বাংলাদেশি মেয়েকে নিরাপদে হোমে রাখার ব্যবস্থাও করা হয়। তাদের নিজ দেশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে আমরা ফাউন্ডেশনের তরফে দেশটির ‘রাইট যশোর বিএনডব্লিউএলএ’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে ও বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ের প্রক্রিয়া যাতে ত্বরান্বিত হয় সেই ব্যাপারেও আমরা পদক্ষেপ নেই। পরে আদালতের নির্দেশ মেনে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে সমস্ত বাধা কাটিয়ে সোমবার বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের। এদিন বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্তবর্তী পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। 

বনগাঁর সাব-ডিভিশনাল পুলিশ কর্মকর্তা (এসডিপিও) অনীল রায় জানান, আদালতের নির্দেশে আইনি নিয়ম মেনেই ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এই বিষয়ে আমাদের তেমন কিছুই জানানো হয়নি বা আমাদের তেমন কিছু করারও থাকে না। মূলত মুম্বাই পুলিশের সহযোগিতায় এবং রেসকিউ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ১৪ বাংলাদেশি মেয়েকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।