‘সেনা সদস্যদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে’
প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:২৮ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:৪৯
জালালাবাদ সেনানিবাসে ১১ পদাতিক ব্রিগেডসহ ৯ পদাতিক ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন এ ব্রিগেড ও ইউনিট প্রতিষ্ঠা, সিলেট অঞ্চলের অবকাঠামো, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন প্রাণ সৃষ্টি করেছে। সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের উন্নয়ন ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছে এবং সেনা সদস্যদের কাছে তাদের প্রত্যাশা বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সিলেট সেনানিবাসে এ ডিভিশনের ১১ পদাতিক ব্রিগেডসহ নয় ইউনিটকে পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের যাত্রা শুরু হয়।
তিন বছরের মাথায় এ ডিভিশনের অধীনে একটি নতুন পদাতিক ব্রিগেডসহ নয়টি ইউনিটের গোড়াপত্তন করা সম্ভব হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, “আমি সত্যিই অভিভূত।”
দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্রিগেড পর্যায়ে স্পেশাল ফোর্স গঠনের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবহিনীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও এসময়ে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি সদস্যের নৈতিক ও মানসিক শক্তি এবং পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছি। বর্তমান সরকারের অক্লান্ত চেষ্টা ও কূটনৈতিক সাফল্যের ফলে জাতিসংঘ মিশনের বিভিন্ন উচ্চতর পদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসাররা এখন কাজ করছেন।
সেনা সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। তা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে যাচ্ছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে শাহজালালের মাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহপরান (র.) মাজার গিয়ে জিয়ারত করেন।