‘এমডিজির মত বাংলাদেশও বিশ্বব্যাপী রোল মডেল হবে’
প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:৫৭ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬, ২০:১৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসডিজি-৬ অর্জনেও বাংলাদেশ যাতে বিশ্বব্যাপী অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বা রোল মডেল হয়ে উঠতে পারে তার কৌশলপত্র তৈরি করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এমডিজির মত এক্ষেত্রেও আমাদের সাফল্য অর্জিত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২০ নভেম্বর) তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৬) বাস্তবায়নে আয়োজিত জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধনী ভাষণে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। খবর বাসসের।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফর্মেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা (এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা-৬): বাংলাদেশ প্রেক্ষিত শীর্ষক এই জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার জনগণের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে। আমরা শতভাগ মানুষকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে চাই। জাতিসংঘ নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
জাতিসংঘের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পানি বিষয়ক প্যানেলের বিশেষ উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যেই ১৯৯৯ সালে জাতীয় পানি, ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড সুয়ারেজ এ্যাক্ট-১৯৯৬, জাতীয় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন নীতিমালা করেছি (১৯৯৮) এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা (১৯৯৭) প্রণয়ন করেছে। সেইসাথে পানি আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ন্যাশনাল ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যানিটেশন এ্যাক্ট-২০১৪ প্রণয়ন করেছি। শতবর্ষের পরিবর্তনের গতি মাথায় রেখে পানি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ হচ্ছে-বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২০১০।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে পানির গুরুত্ব বুঝতে পেরে জাতির পিতা ১৯৭২ সালে আন্তঃদেশীয় সীমান্ত পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে যৌথ নদী কমিশন গঠন করেন। স্বাধীনতার পরই তিনি উপলব্ধি করেন-বাংলাদেশের সব ধরনের উন্নয়নের সাথে নদ-নদী ও পানি সম্পদ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সরকার ১৯৯৬ সালে গঙ্গা চুক্তির মাধ্যমে ৩০ বছরের জন্য গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আওতায় এসেছে। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগের পরিমাণ বর্তমানে ১ শতাংশের নিচে (দশমিক ৮৮) নেমে এসেছে। যা ২০০৩ সালেও ৪২ শতাংশ ছিল। এ বিষয়ে নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সময় ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যেই দুটি ক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য আসবে।