৩৩ শতাংশ পদ

আশাবাদী আওয়ামী লীগের নারীরা

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০১৬, ১৬:১৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

২০২০ সালের মধ্যে দলের বিভিন্ন কমিটিতে ৩৩ শতাংশ পদে নারীদের আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু তারপর দুটি কাউন্সিলে তার এক-তৃতীয়াংশও পূরণ হয়নি এখনো। 

বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ১২ জন সদস্যের মধ্যে নারী সদস্য রয়েছেন ৪ জন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ১৩১ সদস্যর মধ্যে নারী ৭ জন এবং উপদেষ্টা পরিষদের ৩৪ জনের মধ্যে নারী ২ জন।

শতকরা হিসাবে কমিটিতে নারী সদস্য ৭ দশমিক ৩৪। সভাপতিমণ্ডলীতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পূরণ হলেও অন্যান্য স্তরে তাদের হার লক্ষ্যমাত্রার অনেক কম।

তা সত্ত্বেও আরেকটি সম্মেলন এর পূর্ব মুহুর্তে ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই লক্ষ্য অর্জন করবেন তারা।

দলের নারীনেত্রীরাও দাবি করছেন, এই লক্ষ্য অর্জনে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার আশ্বাস মিলেছে। তবে কিভাবে বাকি চার বছরে এই অর্জন সম্ভব হবে, তা স্পষ্ট করতে পারেননি কেউই।

এই ব্যাপারে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, “দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দিকে এগুচ্ছি আমরা। আমরা এগোচ্ছি; আশা করি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যে (৩৩% কোটা পূরণ) পৌঁছে যাব।”

শর্তপূরণে অগ্রগতি কতটুকু- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই সম্মেলনে ভালো একটা ‘পার্সেন্টেজ’ নেতৃত্বে আসবে। তবে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুল-উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া শর্ত মাথায় রেখে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

কত সংখ্যক নারী একবার নেতৃত্বে আসতে পারেন- জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এড়িয়ে বলেন, “বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠছে। তাদের মধ্য থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করে দলের কমিটিতে আনা হবে।”

রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে মানবাধিকারকর্মী খুশি বলেন, “দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামে নারীরা সব সময়ই আগে ছিল। এখনও যে সব জায়গায় নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা কোনো অংশে পুরুষ থেকে পিছিয়ে নেই। তাই আমি মনে করি যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দাবি অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ নারী সব রাজনৈতিক দলের কমিটিতে থাকা দরকার।”

উল্লেখ্য, আগামী ১০-১১ জুলাই দলের ২০তম সম্মেলনের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নিবন্ধন নেওয়ার পর এর আগে ২০০৯ ও ২০১২ সালে সম্মেলন করেছিল দলটি। ২০০৮ সালে নিবন্ধন চালুর সময় রাজনৈতিক দলগুলো গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে ২০২০ সালের মধ্যে নারী সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ পদে রাখার শর্ত পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত