আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

প্রকাশ : ৩১ মে ২০১৬, ১৩:২৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

আজ (৩১ মে) মঙ্গলবার বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। তামাকের স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো তুলে ধরা এবং তামাক ব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সহযোগী সংস্থাগুলো ১৯৮৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করে আসছে।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘প্লেইন প্যাকেজিং : তামাক নিয়ন্ত্রণে আগামী দিন’।

‘প্লেইন প্যাকেজিং’ হচ্ছে তামাকপণ্যের প্যাকেট বা কৌটাকে অনাকর্ষণীয় করা, যাতে ক্রেতা, বিশেষ করে তরুণরা এর প্রতি আকর্ষণ বোধ না করে।

তামাকবিরোধী সংগঠন প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা)-এর নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘প্লেইন প্যাকেজিং’ চালু রয়েছে এবং অনেক দেশ চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

তিনি জানান, ‘প্লেইন প্যাকেজিং’ চালুর পর অস্ট্রেলিয়ায় দৈনিক ধূমপায়ীর হার ১৫.১ শতাংশ থেকে ১২.৮ শতাংশে নেমে এসেছে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘প্লেইন প্যাকেজিং’ চালুর পর তরুণদের মধ্যে সিগারেটের প্যাকেটের প্রতি আকর্ষণ অনেক কমে গেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিশ্বের অন্যান্য ৭৭টি দেশের মতো বাংলাদেশেও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধি অনুসারে ১৯ মার্চ ২০১৬ তারিখ থেকে সব তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট ও কৌটার উভয় পাশে ৫০ ভাগজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ কার্যকর হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও সাদামাটা মোড়কের প্রচলন করার ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করবে। 

এ ছাড়া বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটি সংশোধন করে এবং ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রকাশ করে। আইন ও বিধি বাস্তবায়নে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি, তামাক চাষ নিরুৎসাহিতকরণ নীতি, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি ইত্যাদি প্রণয়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব নীতি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তরের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত