ধর্ষণের ভিডিও করা সেই শিক্ষকের রিমান্ড আবেদন

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার দেওভোগে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও করার অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক সমীর দত্তের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। 

নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে এ আবেদন করা হয়। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানের কাছে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতানোর কথা স্বীকার করেছেন গৃহশিক্ষক সমীর দত্ত।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ধর্ষণের শিকার নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর বাবা দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে গৃহশিক্ষক সমীর দত্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামি গৃহশিক্ষককে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক ইমামের আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) মামলা রিমান্ডের আবেদন শুনানি নির্ধারণ করেছেন আদালত। 

গৃহশিক্ষক সমীর দত্ত নগরীর গলাচিপা গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া মৃত মনোহর দত্তের ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রী দেওভোগ পানির ট্যাংক এলাকায় বসবাস করেন। সমীর দত্ত ওই ছাত্রীকে চতুর্থ শ্রেণি থেকে গৃহশিক্ষক হিসেবে পড়াতেন। ওই ছাত্রীর ফেসবুকের মাধ্যমে নগরীর বাবুরাইল এলাকার এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। পরে ওই ছেলের সঙ্গে কলেজছাত্রীর মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে শিক্ষক সমীর দত্তকে বিষয়টি জানান।  

এ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গৃহশিক্ষক সমীর দত্ত তাকে নিয়ে বিভিন্ন কবিরাজের কাছে যান এবং এরই মধ্যে শিক্ষকের এক পরিচিত লোকের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপটি দেখিয়ে আত্মীয়স্বজনকে দেখানো ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা ও স্বর্ণের গয়না হাতিয়ে নেন। 

পরে এ ঘটনা কলেজছাত্রী তার পরিবারকে জানালে এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করলে সমীর দত্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।