টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত আইরিনের
প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ২১:১০
বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। মা বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালান। তাদের মেধাবী মেয়ে আইরিন আক্তার রিনা। এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অবাক এলাকার মানুষ। কিন্তু অর্থাভাবে তার মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
রবিবার ( ১৬ অক্টোবর) উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গাচোরা বাড়িঘর। বাবা ইউনুস আলী ভোরে কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন। ছাত্রী আইরিন অভাবের সংসারে পড়াশোনা করে এই সফলতা অর্জন করেছে। তার ছিলনা কোনো টিউটর। প্রতিদিন দুই কিলোমিটার হেঁটে কলেজে গিয়েছে।
আইরিন আক্তার রিনা জানান, তিনি বাড়ির কাছে বাগডোকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। তারপর সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ে পড়ার সময় অভাবের কথা চিন্তা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার খরচ বহন করে। তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তার রোল নং- ২৪০৩৯১২, সিরিয়াল নম্বর ৭৭৬১৩৫, স্কোর- ৬৬ দশমিক ৭৫ এবং মোট স্কোর ২৬৬ দশমিক ৭৫।
তিনি জানান, চলতি অক্টোবর মাসের ২০ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে তাকে ভর্তি হতে হবে। ভর্তি হতে প্রায় ১৮/২০ হাজার টাকা লাগবে। এত টাকা জোগাড় করা তার বাবা-মায়ের পক্ষে অসম্ভব।
আইরিনের মা বেলী বেগম বলেন, নিজের ভিটেমাটি কিছুই নেই। এক মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে আইরিনই বড়। খেয়ে না খেয়ে মেয়েটি স্কুল-কলেজ করেছে। ভালো ফলাফলে সবাই সন্তুষ্ট হলেও মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।
সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. আমির আলী আজাদ বলেন, প্রতিষ্ঠানের ২৫ জন শিক্ষার্থী এবার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মেধাবী ছাত্রী আইরিনের পড়ার খরচ কলেজ কর্তৃপক্ষ বহন করেছে। তিনি এই মেধাবী ছাত্রীর লেখাপড়াসহ ভর্তির সহায়তার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তাকে সহায়তা করতে এ ০১৭৩৭৩৬৩২৬৭ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।