'ছেলে আমার সব স্বপ্ন ধ্বংস করে দিলো'
প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৬, ০০:২৫
ছেলে বদরুল আলম সিলেটে সরকারি মহিলা কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে কুপিয়ে জখম করেছে শোনার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা দিলারা বেগম। ছেলের এমন নৃশংস রূপ কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মুনিরজ্ঞাতি গ্রামে বদরুলের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে বদরুল দ্বিতীয়। কয়েকমাস আগে মারা গেছেন তার বাবা।
মা দিলারা বেগম বলেন, "বদরুল কেন এমন জঘন্য কাজ করল জানি না। ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বদরুলই সবচেয়ে মেধাবী ছিল। আমরা তাকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েছি। মনে করেছিলাম, এক দিন সে অনেক বড় হবে। কিন্তু সে আমাদের সব স্বপ্ন ধংস করে দিল”।
তিনি বলেন, "দোষী হলে ছেলের বিরুদ্ধে আদালত যে শাস্তি দেবে, তাই মেনে নেবো"।
খাদিজাকে কুপিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বদরুলের খোঁজ-খবর রাখছেন না বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
ছোট ভাই খালেদ হোসেন বলেন, “আমরা দরিদ্র। বড় ভাইকে অনেক কষ্ট করে পড়তে হয়েছে। তার এই কাজ করা ঠিক হয়নি। ঘটনার পর তার কোনো খোঁজ-খবর আমরা নেইনি। আইনি সহায়তার জন্য তার পাশে দাঁড়াব না।”
চাচা মুহিবুল ইসলাম বলেন, “সারা দেশের মানুষ দেখেছে বদরুল মেয়েটাকে কীভাবে কুপিয়েছে। গরুকে কোরবানির সময়ও মানুষ এভাবে কোপায় না। আমি তার শাস্তি দাবি করি। সে আমাদের অনেক ছোট করেছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সঙ্গে নিজের উপজেলা ছাতকের আলহাজ্ব আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করতো বদরুল। গত ৪ অক্টোবরের ঘটনার পর স্কুল থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মখলিছুর রহমান বলেন, “বছর দুয়েক আগে সে আমাদের বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। এমসি কলেজের ঘটনার পর দিন তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”